ঢাকা, ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

২০১৮ সালের নির্বাচন

কারচুপির নীলনকশার মাস্টারমাইন্ড যারা

জুলকারনাইন সায়ের ও শরিফ রুবেল
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবারmzamin

পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত এক ভোট। নজিরবিহীন এক নির্বাচন। নীশিরাতের ভোট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে দেশ-বিদেশে। ২০১৮ সালে হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমন চিত্র দেখে হতবাক সবাই। মধ্যরাতে অর্ধেক ভোট শেষ। তারপরও দিনের বেলায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্রে ভোটারদের ওপর হামলা, শত শত জালভোট, প্রার্থীদের তুলে নেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা  দেয়া, প্রকাশ্যে ব্যালটে শত শত সিল মারা, হত্যা, মারধর, জবরদখল এমন কিছু নেই- যা এ নির্বাচনে ঘটেনি। এ নির্বাচনে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কথায় বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেছিলেন-আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। একবার আমাকে বিশ্বাস করে দেখুন। নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে কেমন সুন্দর হয় তা দেখতে পাবেন। বিরোধী দলগুলো তার কথা বিশ্বাস করেছিলেন। আর সেই বিশ্বাসের ফল পেয়েছিলেন শূন্য হাতে। নির্বাচনের পরদিন শেখ হাসিনা বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন দেশবাসী আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস রেখেছে। 
কিন্তু সর্বত্র নানা প্রশ্ন তখন ঘুরে বেরিয়েছে। এমন অকল্পনীয় নির্বাচনের মাস্টারমাইন্ড কারা? কারাই বা এমন নীলনকশা এঁকেছিলেন? কোন ক্ষমতার বলে আওয়ামী লীগ এমন একটি একতরফা ভোট করতে পেরেছে। এই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? অনুসন্ধানে এর বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে। কারা ওই ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন এবং পরিকল্পনা করেছেন তাদের সকলের নাম-পদবিসহ এখন বেরিয়ে এসেছে। ওই নির্বাচনে সকল দলকে ডেকে এনে আগের রাতে শতাধিক আসনের ভোট কেটে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। সকাল হওয়ার আগেই দলটির বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সূত্র বলছে, ৩০শে ডিসেম্বর ভোট কারচুপির পরিকল্পনা সাজ��য়েছেন রাষ্ট্রীয় দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মাস্টারপ্ল্যানে ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেন দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা। আর মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করেন সংস্থা দু’টির বিভাগ, মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করে আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনী মাঠে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয় সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পেছনে। সেই সময় অনেকে ব্রিফকেসভর্তি টাকা পেয়েছে- এমন তথ্যও উঠে এসেছে। মূলত কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে ডেকে এনে ধোঁকা দেয়া হয়। যা পুরোটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। 

বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে দেশের বিভিন্ন জেলায় যারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন, তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিটের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর অনুসন্ধান শুরু করেছে। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা ডিটাচমেন্টের দায়িত্বে যে সকল কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরকেও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে। এই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। 

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, নির্বাচনের অন্তত ৩ দিন আগে থেকে সরকারি রেড ফোন ব্যবহার না করার শর্তে আওয়ামী লীগের অনুসারী ওই দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান ও তথ্যের আদান-প্রদান করা হয়। ওই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের আওয়ামী ভক্ত বিশেষ কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়। অতীতে ছাত্রলীগ করেছে এমন কিছু কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলার ডিসি-এসপিদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়। 
সূত্র বলছে, নির্বাচনের সপ্��াহ খানেক আগে থেকেই জেলায় দায়িত্বে থাকা পেশাদার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে জুনিয়র আওয়ামী লীগের অনুগত ও ছাত্রলীগের পোর্টফলিওধারী সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালকদের দিয়ে নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন জেলা কর্মকর্তাকে ওই জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে ওএসডি করে রাখা হয়। নির্বাচন শেষে তাদের পুনরায় আবার স্ব-স্ব কার্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সকল কর্মকর্তাদের নির্বাচনের পর প্রাইজ পোস্টিং, আর্থিক সুবিধা প্রদান, বিদেশে পোস্টিং, বিদেশ ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয় সরকার। কারচুপির নির্বাচনে জড়িত অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। 
কারচুপির নির্বাচনে জড়িত যারা: ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন প্রভাবিত করা কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ��ায়িত্ব পালন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির একজন পরিচালক ও একজন যুগ্ম পরিচালক। বিভাগের শেরপুর জেলায় উপ- পরিচালক অপু কুমার ভৌমিক, জামালপুর  জেলায় উপ-পরিচালক ইফতেখারুল আলম ও রাইয়ান রাজ্জাক। নেত্রকোনা জেলায় উপ- পরিচালক রুবেল আলম ও এরফান হোসেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন। মানিকগঞ্জ জেলায় পরিচালক ওয়াসিম, নরসিংদী জেলায় পরিচালক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরিচালক তৌহিদ, মুন্সীগঞ্জ জেলায় পরিচালক আব্দুল বাতেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুসরাত জাহান, টাঙ্গাইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক সমিরন হালদার, গাজীপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক পারভেজ মাহমুদ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর এলাকায় ১৭টি আসনে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ভোট কারচুপির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির একজন পরিচালক (প্রশাসন), একটি সংস্থার ঢাকা সিটি ইন্টারনাল অপারেশনের প্রধান কর্নেল পদবির একজন, পরিচালক শাহিন সিদ্দিকী ও যুগ্ম পরিচালক আরিফ। 

সূত্র বলছে, নির্বাচনের পরের দিন মেজর জেনারেল পদবির একজন মহাপরিচালক,  ডিডি শাহিন সিদ্দিকী ও জেডি আরিফকে দুই ব্রিফকেসভর্তি টাকা দিয়েছিলেন। রাজশাহী বিভাগের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। নওগাঁ জেলার ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন যুগ্ম পরিচালক সমিরন হালদার ও পরিচালক অলি উর রহমান। তারা দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জয়পুরহাট জেলার দায়িত্ব এবং ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক মাহফুজুর রহমান। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক ফরিদুল আলম চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পাবনা জেলায় পরিচালক মোস্তফা কামাল ও যুগ্ম পরিচালক মো. আবব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহী জেলায় পরিচালক আজিজুর রহমান। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন অতিরিক্ত পরিচালক শহীদুল ইসলাম, বগুড়া জেলায় পরিচালক মোজাহারুল ইসলাম মামুন, সিরাজগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক জি এম আলিম উদ্দিন, পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, নাটোর জেলায় পরিচালক মো. ইকবাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পরিচালক আসাদুল হক পারভেজ। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায়  দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন শাহিনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাওলাদার, যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ, উপ-পরিচালক নির্ঝর আলম সামা। এ ছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নুরুল আবসার, অতিরিক্ত পরিচালক মো. জহির উদ্দিন শামীম। চট্টগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও আশিকুর রহমান। কুমিল্লা জেলায় যুগ্ম পরিচালক মুজিবুর রহমান, চাঁদপুর জেলায় উপ-পরিচালক আরমান, লক্ষ্মীপুর জেলায় উপ-পরিচালক মানিকচন্দ্র দে, নোয়াখালী জেলায় যুগ্ম পরিচালক ফারুক আহমেদ, ফেনী জেলায়  যুগ্ম পরিচালক মতিউল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপ-পরিচালক আবু রায়হান। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলম, বরিশাল জেলায় যুগ্ম পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদ আলম, উপ-পরিচালক শফিক আহমেদ, যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম। পিরোজপুর জেলায় উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান, ইয়াছিন সোহাইল, বরগুনা জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান, ভোলা জেলায় যুগ্ম পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিক টিটু, উপ-পরিচালক মশিউর রহমান, ঝালকাঠি জেলায় যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের। সিলেট বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা ��াজ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট জেলায় যুগ্ম পরিচালক নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নাজমুল হক তমাল, সুনামগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক তরিকুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলায় উপ-পরিচালক রাসেল জমাদার, ফাহমি, হবিগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক ননী গোপাল দাস। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজন এবং  অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বদরুল হাসান। এ ছাড়া ফরিদপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে ফরিদপুর জেলায় পরিচালক তৈয়বুল মাওলা, রাজবাড়ী জেলায় যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নোমান। শরীয়তপুর জেলায় পরিচালক সুমন বিশ্বাস ও মিজানুর রহমান, মাদারীপুর জেলায় সাইফুল ইসলাম লিটন। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন কর্নেল পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা  এবং অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ। খুলনা বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ, ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে খুলনা জেলায় উপ-পরিচালক এস কে সাইলক হোসেন, যুগ্ম পরিচালক রাসেল রানা, এস এম আরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলায় পরিচালক মোজাম্মেল হক, যশোর জেলায় যুগ্ম পরিচালক গাজী নাছির মাহমুদ, নড়াইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক কবির আহমেদ ও মিজানুর রহমান, মাগুরা জেলায় জি এম জামিল সিদ্দিক, যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলায় যুগ্ম পরিচালক আনিসুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক অমিত বড়ুয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সহকারী পরিচালক এবিএম লুৎফুল কবীর, মেহেরপুর জেলায় মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়া জেলায় যুগ্ম পরিচালক আলমাস হোসেন, বাগেরহাট জেলায় পরিচালক বিশ্বজিৎ। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ ও খুলনা ডিভিশন ইনচার্জ অতিরিক্ত পরিচালক জালাল উদ্দিন বিশ্বাস। রংপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি সংস্থার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশরাফুল কবীর, রংপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক মো. ফিরোজ কবীর মাহমুদ, উপ-পরিচালক  মো. ইকবাল হোসেন, তানভীর হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন ভূঞা, কুড়িগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক শাহ সূফী নূর নবী সরকার, সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলায় সহকারী পরিচালক এটিএম কামাল হোসেন, রেফায়েত উল্লাহ, আসিফ মনোয়ার, গাইবান্ধা জেলায় উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, পঞ্চগড় জেলায় ���হকারী পরিচালক মো. তায়জুল ইসলাম, নীলফামারী জেলায় উপ-পরিচালক মো. খালিদ হাসান, দিনাজপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক শেখ গোলাম মোস্তফা।

 

পাঠকের মতামত

সরষে ভূত। এদের কে কি বিচারের আওতায় আনা হবে, না পুনঃ পুরুস্কৃত করা হবে? অপেক্ষা থাকলাম।

Salim Alamgir
৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ। যাতে উদাহরণ হিসেবে ভবিষ্যৎ এ আর কেউ যেন এ রকম দেশদ্রোহী অপরাধ্মূলক হীন কাজ করতে না পারে।

MD.Nasrul Islam
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

এদের সম্পতিই বাজেয়াপ্ত করা হওক, দেশদ্রোহী জন্য ফাঁসি চাই

motiur rahman
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

এদের চাকরিচ্যুত করে, জেলে ঢুকিয়ে দিতে হবে এবং এদের অর্জিত সকল সম্পত্তি সরকারি কোষাগরে জমা করতে হবে।

হেলাল
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

আমি প্রবাসী ১৮ সালে আমি দেশে ছিলাম আমি নিজে দেখেছি কিভাবে কেটে নিয়ে ছিলো সেনাবাহিনী পুলিশ এরা এসে সব পাবলিক কে পিটিয়ে কেন্দ্র ছাড়া করে এবং এলাকার আওয়ামী লীগের নেতারা ভোট কেটে নেয়। ভাগ্যে আমি ভোট টা দিতে পেরেছিলেন। ব্যাল্ট বাক্স জেলা ডিসি অফিসে নিয়ে যায় তখন ই বুঝতে পারলাম কি হবে।

Rubayet
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ৫:১৬ পূর্বাহ্ন

Army personal name should be disclosed, they are the main criminal who betrayed with the country.

abmk
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ১:১৫ পূর্বাহ্ন

আপনারা রিপোর্ট করার সময় আপনাদের উচিৎ ছিল যাদের নাম দিয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা। এখানে ১৮ এর নির্বাচনে কারচুপি করতে অস্বীকৃতি জানালে কেউ কেউ মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বা পূর্বের জের ধরে ১৩ মাস পরে ফাইল ঘেটে চাকুরিচ্যুত হয়েছেন।

শাপলা শেখ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৮ অপরাহ্ন

দুঃখ জনক এদের অনেক অভিবাবক আমলারা এখনও বিভিন্ন সুবিধার জন্যে ধান্দা করে যাচ্ছে

Mamunur
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:০৩ অপরাহ্ন

১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক ৬ দিন আগে আমাকে সহ বিএনপির প্রায় ১৭-১৮ জন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে যাতে সঠিক তথ্য গুলো মিডিয়াতে না আসে।

MD Mofassel
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:২৯ অপরাহ্ন

অবিলম্বে জাতির কলঙ্ককারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ। যাতে উদাহরণ হিসেবে ভবিষ্যৎ এ আর কেউ যেন এ রকম দেশদ্রোহী অপরাধ্মূলক হীন কাজ করতে না পারে। আশাকরি আমাদের #উপদেষ্টা মন্ডলি এর যথাযত ব্যবস্থা নিবেন।

CЯØЅЅ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন

Many thanks @Zulkernain Saer sir. But your subtle effort to hide the defence persons does not go with your policy of without fear or favour. Discolse those names as well please.

Asad Zaman
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:৩৮ অপরাহ্ন

২০১৮ সালের নিশীথ রাতের ভোটে জড়িতদের গ্রেফতার, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতঃ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজে কেউ জড়িত হ‌ওয়ার সাহস পাবে না।

Harun Rashid
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:৩২ অপরাহ্ন

২০১৮ সালের নিশীথ রাতের কারচুপির নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে, যাদের গায়ে সরকার বিরোধী গন্ধ ছিল তাদের সকলকেই গ্রেফতার, নির্যাতন করা হয়েছিল। এমনকি কারাগারে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তখন লক্ষ লক্ষ মামলা দেওয়া হয়েছিল।

Nam Nai
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:৩০ অপরাহ্ন

যারা কর্মরত আছেন বা নেই তাদেরকে এখনি শাস্তির আওতায় আনা হোক।

ROXEY
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিষ আপনি জেনে খান আর না জেনে খান মৃত্যু নিশ্চিত। এদের জন্যও সাজা নিশ্চিত করতে হবে। সবাই বলবে সে চাপে পড়ে করেছে কিন্তু নিজের নামতো কেউ প্রত্যাহার করেনি।

তাওহীদ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

সত্য কোনদিনই চাপা থাকে না। তাহলে এতদিন পর জাতি সত্য জানতে পারল। যারা ২০১৮ সালের নিশি রাতের নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচার করা উচিৎ। ওদের লাইনবেধে স্টেডিয়ামে দাঁড় করিয়ে সাথে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হউক।

এম,এইচ, বারী
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

উক্ত নির্বাচন ছিলো নিশি রাতে জ্বীন আর ভুতের নির্বাচন!!! যাক আমরা এখন জ্বীন আর ভুতগুলোর নাম দেখতে পাচ্ছি!!! আর এই জ্বীন ও ভুতগুলোর সর্দার ছিলো মাফিয়া রানী শেষ হাসিনা!!!

MD REZAUL KARIM
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিগত 16 বছরের সকল অপকর্মের মাষ্টারমাইন্ড হচ্ছে একমাত্র ”শেখ হাসিন “।

ইমরান ইরশাদ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ওনারা জাতির কলঙ্ক। তাই প্রত্যেককে চাকরি থেকে অব্যাহতি সহ শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

Enamul
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন

আজ যদি দেশে একটি বিপ্লবী সরকার থাকতো তবে, এতক্ষণে এদের সবাইকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া হত। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত অনেক আছে।

Borno bidyan
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:২৪ পূর্বাহ্ন

অমুক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা! তাদের নাম পরিচয় গোপন করা হচ্ছে কেন?

ওয়াহিদ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:১৫ পূর্বাহ্ন

এই মাষ্টার মাইন্ডারদের বর্তমান অবস্থান জানালে ভাল হত।

মোঃ আজিজুল হক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

They should be fired, arrested, and prosecuted.

Nam Nai
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

দালাল হটানোর ব্যবস্থা করেন। এই মুহূর্তে উদ্যোগ না নিলে ভয়ানক পরিস্থিতি দাঁড়াবে। কুত্তার আর কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না।

Shah Intehan
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

ঐ দুই গোয়েন্দা সংস্থার ঐসব কর্মকর্তারা এখন কোথায় আছে?

তপু
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

বাহ্ চমৎকার!!!

আবদুল নাইম
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status