প্রথম পাতা
ভালো নেই সেই শিশুটি
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। সিজিএস কমা লেভেল চার থেকে তিনে নেমে এসেছে। ব্রেইন স্টেম এবং চোখের মণির প্রসারণও কমে গেছে আগের দিন থেকে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সিএমএইচ’র চিকিৎসকরা প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। আমরা সবাই মিলে দোয়া করি যাতে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। এর আগে সোমবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতির খবর দিয়ে বলা হয়, পাঁচদিনের মাথায় তার চোখের পাতা নড়েছে। এদিকে গতকাল সকালে শিশুটির দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচ’র চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, তার (শিশুটি) অবস্থা আরও জটিল হয়েছে। সে এখন জটিল পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসায় তার হৃদস্পন্দন ফিরে আসে। পরে দ্বিতীয়বার তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেয়ার আগপর্যন্ত এই অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ কারণে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিলে মস্তিষ্কের এত ক্ষতি হতো না।