শেষের পাতা
প্রকাশিত সংবাদে ম্যাক্স গ্রুপের প্রতিবাদ
১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবারগত ১১ই মার্চ দৈনিক মানবজমিন-এ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “রেলের মাফিয়া”- শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ম্যাক্স গ্রুপ। এতে বলা হয়, প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রকল্পগুলো এবং ম্যাক্সের বেশিরভাগ প্রকল্প প্রধানত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের ফান্ডেড প্রকল্প, যেখানে হাইলি টেকনিক্যাল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং নিরপেক্ষ কনসালটেন্সি ফার্ম, এমপ্লয়ার, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার সবার সম্মিলিত পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষার পরে আন্তর্জাতিক কম্পোটেটিভ বিডিং এর মাধ্যমে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। সুকঠিন এই প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করার বা জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাক্সের বিরুদ্ধে বর্ণিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন।
ম্যাক্স কোম্পানি হিসাবে যাত্রা শুরু করে ৯০ দশকে এবং ২০০৩-২০০৫ সালে রেলের উল্লেখযোগ্য লাকসাম-নোয়াখালী প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করে, যার মূল্যমান ছিল ৭২ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার ছোট ছোট নির্মাণ কাজ নিয়ে ধুঁকতে থাকা কোম্পানির যে করুণ চিত্রায়ন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা কোনোভাবেই ম্যাক্সের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রতিবাদে বলা হয়, লাকসাম-চিনকি আস্তানা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট নিয়ে উল্লিখিত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট অ্যান্ড সেভেরাল লায়াবিলিটির অধীনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিডিক ঠিকাদার বিধি-বিধান মেনে প্রতি ধাপে-ধাপে বাংলাদেশ রেলওয়ে, আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারের যাচাই-বাছাই এর পরে ১০০ ভাগ কাজ ম্যাক্স সফলভাবে সম্পন্ন করে এবং আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের জ্ঞাতসারে কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট অর্জন করে যা সম্পূর্ণরূপে বৈধ এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের তদন্ত পরবর্তী লিখিত অনুমোদন ম্যাক্সের কাছে বিদ্যমান।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, রেল খাতের ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ ম্যাক্স পায়নি, উন্নয়নখাতের ৬০ হাজার কোটি টাকার কাজ ম্যাক্স করেনি, দোহাজারী-কক্সবাজারে ১৮ হাজার কোটি টাকা ম্যাক্সের প্রকল্প মূল্য নয়, রেলের ৯০% টেন্ডার ম্যাক্স পায়নি, ৩০% কমিশনের সুযোগ কোনো কনস্ট্রাকশন কাজে নাই, যোগ্যতার মাপকাঠিতে ম্যাক্স দেশীয় কোম্পানি হিসাবে ১০ নম্বর নয় বরং রেলের কাজে দেশে ম্যাক্সের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা আর কারও নেই।
প্রতিবাদে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ওবায়দুল কাদের, মির্জা আজম, শেখ রেহানা প্রমুখের নাম ভিত্তিহীনভাবে ম্যাক্সের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে যা সম্পূণরূপে মিথ্যা। উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ম্যাক্স এর ১ টাকার ও সম্পর্ক বা লেনদেন হয়নি। উপরের লিখিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ম্যাক্সের কোনোরকম যোগসাজস কখনোই ছিল না।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এর বিভিন্ন প্রকল্পের নথি পত্রের উপর ভিত্তি করেই প্রকাশ করা হয়েছে। নথিপত্র ঘেঁটে পাওয়া অনিয়মের তথ্যই সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লিখিত সব তথ্যের নথি মানবজমিন-এর হাতে সংরক্ষিত রয়েছে।