ডিসি হিল
ডিসি হিল | |
---|---|
ঐতিহাসিক স্থান | |
ডাকনাম: ডিসি হিল পার্ক | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২০′৩১″ উত্তর ৯১°৪৯′৫৫″ পূর্ব / ২২.৩৪১৯৪° উত্তর ৯১.৮৩১৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
স্থান | নন্দন কানন |
সরকার | |
• ধরন | জেলা প্রশাসন |
• শাসক | জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম |
• জেলা প্রশাসক | ফরিদা খানম |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | portal.cda.gov.bd |
ডিসি হিল বা ডিসির পাহাড় চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত অন্যতম নান্দনিক স্থান যার বর্তমান আনুষ্ঠানিক নাম নজরুল চত্বর।[১] এই পাহাড়ের শীর্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সরকারী বাসভবন অবস্থিত। পাহাড়টির চারিদিকে অনেক সুউচ্চ গাছ রয়েছে। একসময় এই স্থানটিকে পার্ক হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীকালে একে আর পার্ক করা হয় নি।[২] প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে এখানে বাঙালির জাতীয় উৎসব পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করার মধ্য দিয়ে ডিসি হিল ঐতিহাসিক গুরত্ব ধারণ করেছে।[৩] এছাড়াও এখানে জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক দিবসসমূহ পালন, মঞ্চনাটক, উন্মুক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে।[১][৪][৫] এছাড়া প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে শত শত নারী-পুরুষ এখানে হাঁটাহাঁটি বা শরীরচর্চার জন্য সমবেত হন।[৬]
অবস্থান
[সম্পাদনা]ডিসি হিল চট্টগ্রাম শহরের নন্দনকান বৌদ্ধ মন্দির সড়কে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রবিন্দু জিরো পয়েন্ট হতে ১কিমি দূরে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ইংরেজ শাসনামলের গোড়ার দিকে এখানে চাকমা রাজার বাড়ি ছিলো। পরবর্তীতে এখানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবন স্থাপিত হওয়ায় কালক্রমে এই পাহাড় ডিসি হিল নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার জীবদ্দশায় এখানে প্রায়ই আসতেন অবসর কাটাতে। জাতীয় কবির এই আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১০ এপ্রিল ২০০৫ সালে ডিসি হিলের নতুন নামকরণ করা হয় নজরুল চত্বর।[১] ১৯৭০ এর দশকের শেষভাগ থেকেই এখানে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।[৭] পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আগে ইস্পাহানী পাহাড়ের পাদদেশে উদ্যাপন করা হলেও ১৯৭৮ সালে এই উৎসব ডিসি হিল পার্কে সরিয়ে নেওযা হয়। ১৯৭৮ সালের উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ওয়াহিদুল হক, নির্মল মিত্র, মিহির নন্দী, অরুন দাশ গুপ্ত, আবুল মোমেন সুভাষ দে প্রমূখ। প্রথম দিকে প্রত্যেক সংগঠন থেকে দুইজন করে নিয়ে একটি স্কোয়াড গঠন করা হত। সেই স্কোয়াডই সম্মিলিত ���ঙ্গীত পরিবেশন করতো। ১৯৮০ সাল থেকে সংগঠনগুলো আলাদাভাবে গাণ পরিবেশন শুরু করে। পরে গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদ যুক্ত হওয়ার পর অনুষ্ঠানে নাটকও যুক্ত হয়েছ। [৮]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
প্রাকৃতিক পরিবেশ
-
প্রাকৃতিক পরিবেশ
-
পার্কের প্রবেশদ্বার
-
পথের দুইপাশের গাছপালা
-
নজরুল স্কয়ার
-
বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় যাবার পথ
-
বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোর প্রবেশপথ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Azadi, Dainik (২০২২-১২-২৬)। "মুক্ত হোক ডিসি হিল"। দৈনিক আজাদী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ মোহাম্মদ খালেদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। "ডিসির পাহাড়"। হাজার বছরের চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক (দৈনিক আজাদী)। পৃষ্ঠা ৩০৬।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "উৎসবমুখর বন্দরনগরী"। উৎসবমুখর বন্দরনগরী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ ডিসি হিল পার্কে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ এপ্রিল ২০১০ তারিখে,বিডিনিউজ২৪, এপ্রিল ১২, ২০১০।
- ↑ "বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন"। ২১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-১১-১৭)। "ডিসি পাহাড়ের ভোরের পাখিরা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ ঐতিহ্যের অহংকারে বৈশাখ বরণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০৪-২৪ তারিখে, প্রথম আলো, এপ্রিল ১৮, ২০১০।
- ↑ হাজার বছরের চট্টগ্রাম। দৈনিক আজাদীর ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা। পৃ ১৬২