সাঙ্গু নদী
সাঙ্গু নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম |
জেলাসমূহ | বান্দরবান, চট্টগ্রাম |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | আরাকান পর্বতমালা |
• অবস্থান | লাগপাই, থানচি, বান্দরবান |
• উচ্চতা | ১৮৩ |
দৈর্ঘ্য | ২৯৪ কিলোমিটার |
সাঙ্গু নদী বা শঙ্খ নদী, বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক সাঙ্গু নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ১৫।[১] ১৮৬০ সালে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গেজেটিয়ার প্রকাশকালে ব্রিটিশ শাসকরা ইংরেজিতে এটিকে সাঙ্গু নাম দেন তবে মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় শঙ্খকে রিগ্রাই খিয়াং অর্থাৎ স্বচ্ছ পানির নদ বলা হয়। বান্দরবানের শঙ্খ-তীরবর্তী লােকজনের ৯০ শতাংশই মারমা। জীবন-জীবিকাসহ দৈনন্দিন কাজে এরা নদীটির ওপর নির্ভরশীল।
প্রবাহ
[সম্পাদনা]নদীটি দেশের দক্ষিণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি নদী। কর্নফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।[২] বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম।[৩] মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনােয়ারা ও বাঁশখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।[৪] উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার।[৫]
সাঙ্গু নদী বান্দরবান জেলার প্রধানতম নদী। বান্দরবান জেলা শহরও এ নদীর তীরে অবস্থিত। এ জেলার জীবন–জীবিকার সাথে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি পাহাড়ি নদীর মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। বান্দরবান জেলা এবং চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চল এ নদীবিধৌত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদী উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু সাঙ্গু নদী বান্দরবানের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্টি হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিমে বাঁক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে শেষ হয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গুরুত্ব
[সম্পাদনা]পার্বত্য অঞ্চলে নদীর মাধ্যমে চলাচলের ক্ষেত্রে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বালি উত্তলনের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব রয়েছে।
পরিবেশ বিপর্যয়গত প্রভাব
[সম্পাদনা]চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৯১-২৯২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ BD Ad Info ওয়েবসাইট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১১ মার্চ ২০১১ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "UK BD News এর প্রতিবেদণ"। ২০১১-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-০৮।
- ↑ দৈনিক কালের কন্ঠ
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- শঙ্খ এখন ধু-ধু বালুচর - সমকাল, ৩ এপ্রিল ২০১৮, পৃষ্ঠা ৭। http://epaper.samakal.com/nogor-edition/2018-04-03/7
বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |