বিষয়বস্তুতে চলুন

তিতাস নদী

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′ উত্তর ৯০°৪৫′ পূর্ব / ২৩.৭০০° উত্তর ৯০.৭৫০° পূর্ব / 23.700; 90.750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তিতাস
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
দৈর্ঘ্য৯৮ কিলোমিটার
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
ক্রমবৃদ্ধিমেঘনা নদী
বর্ষায় তিতাস নদী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত শাহবাজপুর টাউন অঞ্চলের লঞ্চঘাট থেকে তিতাস নদীর দক্ষিণাংশের দৃশ্যমালা (২০১২)

তিতাস নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে প্রবহমান নদীবিশেষ। বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমানা সংশ্লিষ্ট নদী হিসেবে এটি পরিচিত। নদীটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে বাংলা ভাষায় হাওড়া নদী এবং স্থানীয় কোকবোরোক ভাষায় সাঈদ্রা নদী নামে তিতাস নদীর নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ঐ নদীটি তিতাস নদী হিসেবে পরিচিতি পায়।

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা দিয়ে নদীটি প্রবেশ করে শাহবাজপুর টাউন অঞ্চলের সীমানা ঘেঁষে এটি আরো দক্ষিণদিকে অগ্রসর হয়ে ভৈরব-আশুগঞ্জের সীমানা ঘেঁষে বহমান অন্যতম বৃহৎ নদী মেঘনার সাথে একীভূত হয়ে যায় তিতাস নদীটি। তিতাসের গড় দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার

তিতাস ও মেঘনা নদীকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশে অনেক উপকথা প্রচলিত আছে। তন্মধ্যে একটি উপকথায় বলা হয়েছে যে, তিতাস নদী মেঘনার কন্যা বা মেয়ে

গ্যাসক্ষেত্র

[সম্পাদনা]

তিতাস নদীর উপকূলে প্রাপ্ত গ্যাসক্ষেত্রটি তিতাস গ্যাসক্ষেত্র নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস উৎপাদনকারী ক্ষেত্র হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এই গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করেছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত এখানে ১৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। প্রায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটির ভূ-গঠন গম্বুজ প্রকৃতির।

২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তিতাস নদীর উপর একটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা প্রস্তাবনা আকারে গ্রহণ করেছেন।[]

তিতাস একটি নদীর নাম

[সম্পাদনা]
তিতাস একটি নদীর নাম শীর্ষক উপন্যাসের রচয়িতা অদ্বৈত মল্লবর্মণের আবক্ষ মূর্তির সম্মুখভাগ (২০১২)

তিতাস নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস ও তাদের জীবন-সংগ্রামকে কেন্দ্র করে তিতাস একটি নদীর নাম শিরোনামে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করেছেন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ যা ১৯৫৬ সালে মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় ১ম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । পরবর্তীকালে তিতাস একটি নদীর নাম শিরোনামে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্মিক ঘটক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. railway-technology.com
  2. "Titas Ekti Nadir Naam"। bdbazar.com। ২০০৭-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৩