শ্রীকাইল সরকারি কলেজ
শ্রীকাইল সরকারি কলেজ | |
---|---|
ঠিকানা | |
, ৩৫৪৪ | |
তথ্য | |
নীতিবাক্য | Enter to learn , leave to serve |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৪১ |
প্রতিষ্ঠাতা | ক্যাপ্টেন নরেন্দ্র দত্ত |
কর্তৃপক্ষ | পরিচালনা পর্ষদ, শ্রীকাইল সরকারি কলেজ |
অধ্যক্ষ | মিয়া গোলাম সারোয়ার (ভারপ্রাপ্ত) |
কর্মকর্তা | ৩০ |
অনুষদ | বিজ্ঞান শাখা, মানবিক শাখা, ব্যবসায় শাখা |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩৪ জন প্রায় |
শ্রেণি | ১২ |
বয়সসীমা | ১৬-১৮ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৪৫০+ |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাস | কুমিল্লা |
শিক্ষায়তন | ৩০ একর (১,২০,০০০ মি২) |
ক্যাম্পাসের ধরন | স্থায়ী |
হাউস | ৫ |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল |
প্রকাশনা | লাইব্ররী |
শিক্ষা বোর্ড | কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড |
ওয়েবসাইট | ShreekailGovt.College |
শ্রীকাইল সরকারি কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা, মুরাদনগর উপজেলা, বাঙ্গরা বাজার থানাঅন্তর্গত শ্রীকাইল গ্রামে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মহামানব ক্যাপ্টেন নরেন্দ্র নাথ দত্ত কর্তৃক ১৯৪১ সালে স্থাপিত কলেজটি এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে কলেজটিতে ৩৪ শিক্ষক রয়েছেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার অন্তর্গত শ্রীকাইল গ্রামে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজসেবক হিসেবে খ্যাত ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রম এবং মেধার মাধ্যমে অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থা থেকে তিনি বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন। তদানীন্তন ত্রিপুরা জেলার (বৃহত্তর কুমিল্লা) মধ্যে শ্রীকাইল কলেজ ছিল প্রথম গ্রেডের দ্বিতীয় কলেজ। কলেজটি যাত্রা শুরু করে মাত্র ৫২ জন ছাত্র নিয়ে এবং ২০০০ সালে এর ছাত্র সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৯০০। শুরুতে এই কলেজে কোন ছাত্রী ছিল না। ২০০০ সালে ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪০০।
এ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন ডঃ অতীন্দ্রনাথ বসু। ১৯৫৭ সালে বন্ধ হয়ে কলেজটি আবার ১৯৬৩ সালে চালু হয়। তখন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন আঃ ওয়াদুদ। তাকে কলেজের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতাও বলা হয়।
ফলাফল
[সম্পাদনা]কলেজের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করে। তবে কলেজটি প্রথমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১৯৪৫ সালে যখন এই কলেজের ছাত্র অরুণ দত্ত অবিভক্ত বাংলার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।যুগ উপযোগী পাঠ দানের অভাব, গত কয়েক বৎসর ধরে কলেজ টির ফলাফল সন্তোষজনক নয়।।
ভবনসমূহ
[সম্পাদনা]কলেজের গ্রন্থাগারে ছয় হাজার গ্রন্থ এবং সাময়িকী রয়েছে। কলেজ গবেষণাগার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তঃকলেজ ক্রীড়ায় নিয়মিত যোগদান করে থাকে। এই কলেজে বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটিং ইউনিটও রয়েছে। কলেজটির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ দৃঢ়। কলেজের আয়ের উৎস হচ্ছে জমি (৩০ একর), সালদা নদী এলাকায় অবস্থিত সম্পত্তি, শ্রীকাইল বাজারের কিছু দোকানপাট, ছাত্রবেতন এবং সরকারি অনুদান। কলেজের অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি তিনতলা একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবন, অধ্যক্ষের জন্য একটি তিনতলা আবাসিক ভবন, শিক্ষকদের জন্য ২০টি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি মিলনায়তন এবং অবিবাহিত শিক্ষকদের জন্য ১৪টি বাসকক্ষ।
কৃতি শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, প্রকৌশলি, ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। মুক্তিযুদ্ধের সময় শ্রীকাইল কলেজ গৌরবজনক ভূমিকা পালন করে। এই কলেজের দুইজন ছাত্র মোঃ মোর্শেদ এবং হাসান আলী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। প্রাক্তন ছাত্র শাহ্জাহান সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত হন।