জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতি
অবয়ব
জোড় বাংলা যা চার-চালা বা জরু বাংলা নামেও পরিচিত,[১] বাংলায় বিকাশ লাভ করা একধরনের মন্দিরের স্থাপত্যরীতি।[২] এই স্থাপত্যরীতিতে নকশায় দুটি অংশ থাকে। ইমারতের অধিকতর স্থায়িত্বের জন্য দুটি দোচালা পাশাপাশি জোড়া থাকে। একটি অংশ বারান্দা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং অন্য অংশটি মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[২]
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ
[সম্পাদনা]পশ্চিমবঙ্গে
[সম্পাদনা]স্থান | জেলা | প্রতিষ্ঠাকাল | চিত্র | |
---|---|---|---|---|
কালনা | বর্ধমান জেলা | ১৭৩৯ খ্রীঃ | সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির | |
বিষ্ণুপুর[৩] | বাঁকুড়া জেলা | ১৬৫৫ খ্রীঃ | জোড় বাংলা | |
গড়পঞ্চকোট[৪]:২০০ | পুরুলিয়া জেলা | জোড় বাংলা | ||
গুপ্তিপাড়া | হুগলী জেলা |
বাংলাদেশে
[সম্পাদনা]- গোপীনাথ মন্দির পাবনা শহর থেকে ১ কিলোমিটার (০.৬২ মা) পূর্বে অবস্থিত একটি জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতির হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না।[৫] এটি পাবনা জেলার অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এং দর্শনীয় স্থান।
তথ্য উৎস
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া ক���ন্সে জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
- ↑ Ghosh, P. (২০০৫)। Temple To Love: Architecture And Devotion In Seventeenth-Century Bengal। Indiana University Press। আইএসবিএন 9780253344878।
- ↑ ক খ Priyanka Mangaonkar (২০১২)। "Temples of Bengal: Material Style and Technological Evolution" (পিডিএফ)। Chitrolekha International Magazine On Art And Design। 2 (1)।
- ↑ মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর, বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুদ্রক - মিনার্ভা অফসেট, বিষ্ণুপুর
- ↑ সুভাষ রায়, পুরুলিয়া জেলার পুরাকীর্তি, পুরুলিয়ার কয়েকটি প্রত্নস্থল, অনৃজু প্রকাশনী, চেলিয়ামা, পুরুলিয়া, ৭২৩১৪৬, প্রথম প্রকাশ, আশ্বিন ১৪১৯
- ↑ Mrinmoyee Ray (২০১২)। "Representation in Monument Building and Schematic of Terracotta Narratives: Delving into Some Aspects of Gopinath Jor-Bangla Temple, Pabna, Bangladesh" (পিডিএফ)। Chitrolekha International Magazine On Art And Design। 2 (1)।