
বিরোধী শিবির গ্রেপ্তারির দাবিতে সোচ্চার৷ মন্ত্রীদের বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে৷ ফরওয়ার্ড ব্লক এ দিন রাস্তায় নেমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে৷ গত বিধানসভা ভোটের আগে নারদ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এলেও তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা ৫০ -৮০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে যুক্তি খাড়া করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর কথায় , ‘এটা প্রতিষ্ঠিত যে , নারদ কোনও দুর্নীতি নয়৷ ষড়যন্ত্র৷ আইনি লড়াই চলবে৷ আমরা এর আগেও অনেক লড়াই করেছি৷ ’ এ দিন নবান্নে যখন ক্যাবিনেট বৈঠক চলছিল , তখনই এফআইআর দায়ের করার খবর এসে পৌঁছয়৷ বৈঠক শেষে সুব্রত মুখোপাধ্যায় , শোভন চট্টোপাধ্যায় -সহ অভিযুক্ত একাধিক মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে দ্রুত প্রস্থান করেন৷
শুভেন্দু মন্তব্য করলেও অন্য অভিযুক্তরা কোনও মন্তব্য করেননি৷ দলের উপরই আস্থা রেখেছেন সুলতান আহমেদ , ফিরহাদ হাকিম , কাকলি ঘোষদস্তিদার৷ পার্থ বলেছেন , ‘এটা সাদামাটা কোনও এফআইআর নয় , দলে এই বিষয়ে আলোচনা হবে৷ ’ যদিও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন , ‘সিবিআই তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷ এই মামলায় ন্যায়বিচার হবে৷ ’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কথায় , ‘অভিযুক্তরা প্রভাবশালী৷ সুতরাং সিবিআইকে যথেষ্ট সময় নিয়ে সমস্ত প্রমাণ কোর্টে পেশ করতে হবে৷ কোর্ট কোনও পলিটিক্যাল গিমিকের জায়গা নয়৷ ’ তৃণমূল পরবর্তী রণকৌশল চুড়ান্ত করার আগেই বিরোধী শিবির ফের রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ নারদ কেলেঙ্কারি নিয়ে আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে সরব৷ তিনি বলেন , ‘মুখ্যমন্ত্রী সততার প্রমাণ দিতে চাইলে অবিলম্বে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বরখাস্ত করুন৷ আমরা ফের অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামব৷ ’
অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে নরেন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফরওয়ার্ড ব্লক লালবাজার অভিযান করে৷ বউবাজার স্ট্রিটে ফিয়ার্স লেনের কাছে পুলিশ এই মিছিল আটকে দিলে প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয়৷ ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকরা পরপর ব্যারিকেড ভেঙে দেয়৷ সিপিএম পলিটব্যুরো বৈঠক চলার মধ্যে এফআইআরের খবর গোপালন ভবনে পৌঁছয়৷ সূর্যকান্ত মিশ্র ট্যুইটে বলেছেন , ‘নারদ অভিযুক্তদের সবাইকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই৷ অবিলম্বে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্ত হোক৷ ’