বিশ্বজমিন
অনলাইনে প্রেম, সাবধান!
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

অচেনা মানুষের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয়ের ফল কখনো কখনো এত্ত ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তার এক বাস্তব উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের বালিকা মিরান্ডা করসেট (১৬)। তার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে স্টিফেন গ্রেস (৩৫) ও তার সঙ্গী মিচেল ব্রান্ডেস (৩৭) হত্যা করেছে মিরান্ডাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। অনলাইনে পরিচয়ের সূত্রে মিরান্ডাকে অপহরণ করে তারা। এরপর কৌশলে ফেলে তার মুখের ভিতর বল প্রবেশ করিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে স্টিফেন গ্রেস ও তার সঙ্গী ব্রান্ডেসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গাল্ফপোর্টে নানীর সঙ্গে বসবাস করতেন মিরান্ডা। ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তদন্তকারীরা পরবর্তীতে জানতে পারেন, গ্রেস নামের এক ব্যক্তি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে মিরান্ডাকে প্রলুব্ধ করে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রথম গ্রেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মিরান্ডার। তার বসবাস ছিল এসটি পিটার্সবার্গের অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানে সারাদিন এক সঙ্গে অতিবাহিত করে তারা।
এরপর মিরান্ডাকে তার নানীর বাড়ি রেখে আসে গ্রেস। পরের দিন পুনরায় গ্রেসের বাড়ি চলে যায় মিরান্ডা এবং সেখানে এক সঙ্গে সময় কাটায়। এক সপ্তাহের মতো তাদের সঙ্গে সময় কাটায় মিরান্ডা। তবে ২০শে ফেব্রুয়ারি পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। গ্রেস ও ব্রান্ডেস একটি আংটি চুরির অভিযোগ আনে মিরান্ডার বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় তাদের মধ্যে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মিরান্ডা’কে তার মতের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের বেশি সময় আটকে রাখা হয়। তদন্তে জানা যায়, গ্রেস ও ব্রান্ডেস তাকে লাগাতার প্রহার করে। এক পর্যায়ে তার মুখে জোরপূর্বক বিলিয়ার্ড বল ঢুকিয়ে দিয়ে মুখ বেঁধে দেয়। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, মিরান্ডা’কে ২০-২৪ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মৃতদেহটি গাড়িতে করে একটি বাড়িতে রেখে আসে গ্রেস। মৃতদেহটি সেখানে কয়েক খণ্ড করা হয় বলে জানায় তদন্তকারীরা। মৃতদেহের কিছু অংশ হিলসবরো কাউন্টির রাসকিনে একটি ডাম্পস্টারে (বর্জ্য ফেলার পাত্র) ফেলে আসা হয়। তদন্তের সাপেক্ষে গ্রেসের নামে খুন ও অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করে ব্রান্ডেস। তার বিরুদ্ধেও একই মামলা করা হয়।