বিশ্বজমিন
রাখাইনে মানবিক করিডর স্থাপনের আহ্বান ফোর্টিফাই রাইটসের
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে থাইল্যান্ডভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফোর্টিফাই রাইটস। বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে এই আহ্বান জানিয়েছে তারা। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে তারা। যেখানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের শিকার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে মানবিক করিডর স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তথ্য-প্রমাণেরভিত্তিতে ফোর্টিফাই রাইটস বলেছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে রাখাইনে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে সাধারণ জনগণের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সীমান্তের দুই পাশের মানবিক চাহিদা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত শুরুর পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। আর ২০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসের ঘোষণা মানবিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রকারান্তরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থকে রক্ষা করছে।
ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেন, অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোর উচিত মিয়ানমারে যে জনগোষ্ঠী সংকটে আছে তাদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজতর করার জন্য সকল সম্ভাবনার সুযোগ যাচাই করে দেখা।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি ‘মানবিক করিডর’ চালু করা সব সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানি ঘটতে থাকবে। কীভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মানবিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা নথিভুক্ত করেছে ফোর্টিফাই রাইটস। ওই বিধিনিষেধের ফলে বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। সামরিক জান্তা বাণিজ্যের পথও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে রাখাইনে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালে মিয়ানমারের প্রত্যাশিত সাহায্য ২৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে মানবিক ত্রাণের জন্য নির্ধারিত ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও রয়েছে। যা দেশের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
পাঠকের মতামত
পাশের দেশে মানবতার জননী আছে,তারে বলেন,আমরা এমনিতে রোহিঙ্গাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি,যে দেশ গুলো রাখাইন রাজ্য থ���কে বেশি সুবিধা ভোগ করে তারা কেন আজ ধরি মাছ না ছুই পানি, শুধু শুধু বাংলাদেশকে আহ্বান করার কি দরকার?
মানবতার জননী নে দিয়া গেছিল - এইবার পাশের দ্যাশরে কন