বিশ্বজমিন
সার্বিয়ার পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে স্মোক গ্রেনেড, ডিম নিক্ষেপ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৫:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৯ অপরাহ্ন

অধিবেশন চলাকালে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় সার্বিয়ার পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার বিরোধী দলীয় এমপিরা পার্লামেন্টের ভিতরেই স্মোক গ্রেনেড বা ধোয়া সৃষ্টিকারী গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। একই সঙ্গে ছুড়ে মারেন কাদানে গ্যাস। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে তারা পার্লামেন্টের ভিতরেই এ ঘটনা ঘটান। এ সময় পুরো পার্লামেন্ট ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পার্লামেন্ট চেম্বারে জড়ো হন কয়েক ডজন এমপি। এ সময় বিরোধী দলীয় এমপিরা উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। তারা স্মোক গ্রেনেড ও ডিম ছুড়ে মারেন। নিজেদের আসন ছেড়ে লাফিয়ে ওঠেন এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় পার্লামেন্টের ভিতরে ধোয়ায় ভরে যায়। কেউ কেউ একটি ব্যানার তুলে ধরেন। তাতে লেখা- শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেগে ওঠো সার্বিায়। একজন অন্তঃস্বত্তা সহ ক্ষমতাসীন সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টির তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এই বিশৃংখল পরিস্থিতি ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনে সমর্থন দিতে সৃষ্টি করা হয়। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দেশটি অচল হয়ে পড়েছে। কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দর ভুসিচের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় হুমকি। নভেম্বরে দেশটির নোভি সাদ শহরে একটি রেলওয়ে স্টেশন ধসে পড়ে। তাতে ১৫ জন নিহত হন। তারপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়।
পাঠকের মতামত
আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা শত বছরের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে যে কেউ শিখতে পারে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে শুধুমাত্র তারাই।
একমাত্র ছাত্রদের পক্ষেই আন্দোলন করা সম্ভব। সার্বিয়ার অবস্থা এমন হলো কিভাবে। রেল স্টেশন ধসে পড়েছে। এটা কোন কথা হলো। সরকারি এসবে মনোযোগ দেয় না কেন। সাধারণত ছাত্ররা হয় নিষ্কলুষ চরিত্রবান। এজন্যই তারা খুব সহজে আন্দোলন করতে পারে প্রতিবাদ করতে পারে। বেঁচে থাকো চিরদিন।