বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: নবম খণ্ড
৩৮৫

জন্য যশোর লোক পাঠানো হয়। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হয়। রাজেন্দ্র কলেজ এবং স্টেডিয়ামের মাঠে আমাদের ট্রেনিং অব্যাহত থাকে এবং ক্রমেই ট্রেনিং গ্রহনকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। আমাদের এই প্রচেষ্টার দু’টি উল্লেখযোগ্য দিক ছিলঃ (১) জনগনের মনোবল সুদৃঢ় করার জন্য প্রচারকাজ চালানো; (২) ফরিদপুর শহর এবং আশেপাশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা। অস্ত্র না পাওয়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহনের পরিকল্পনা কারনে ২২শে এপ্রিল পাক-সেনাবাহিনী শহরে প্রবেশ করার মুহূর্তে আমরা শহর ত্যাগ করি এবং ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ি। আমাদের প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথীরা অস্ত্র যোগাড় করতে না পেরে ভারতে চলে যান এবং ট্রেনিংশেষে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। অনেকে ফরিদপুরের গ্রামাঞ্চল থেকেই রাজাকর এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।