বিষয়বস্তুতে চলুন

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
লেখকতারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশভারত
ভাষাবাংলা
ধরনউপন্যাস
প্রকাশিত১৯৪৬

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা হল তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। প্রকাশ কাল ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ।[] উপন্যাসটি গ্রামীণ বাংলার জীবন, জমিদারী ব্যবস্থার বাস্তবতা (যা বাংলার সামাজিক বৈষম্যের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী ছিল) ও পাশাপাশি সময়ের সাথে সামাজিক ধারণার পরিবর্তনগুলিকে অন্বেষণ করে।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে উপন্যাসটির বিভিন্ন সংস্করণ রচিত এবং প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ বার্ষিক দুর্গা উৎসব সংখ্যায় এটির প্রথম সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। পরে, উপন্যাসটি পরবর্তী পাঁচ বছরে সম্প্রসারিত ও সংশোধিত হয়, সেই সময়ে বেশ কয়েকটি সংস্করণে এটি প্রকাশ পেয়েছিল।[]

বিষয়বস্তু

[সম্পাদনা]

বাঁশবাদি গ্রামে কাহার জাতির লোকেরা বাস করত। কাহারেরা দুটি পাড়ায় বিভক্ত ছিল। বেহারা পাড়া এবং আটপৌরে পাড়া। বেহারা পাড়ার লোকেরা পালকি বহন করত। আর আটপৌরেরা চাষ বাসের কাজে নিযুক্ত ছিল। বেহারা পাড়ার প্রধান ছিল বনোযারী এবং আটপৌরে পাড়ার প্রধান ছিল পরম। দুই পাড়ার মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হত। তবুও উভয়েই কিন্তু দেবতা কত্তাবাবাকে মানত। কত্তা বাবার ছিলেন হাঁসুলী বাঁকের পশ্চিম দিকের শিমুল গাছে। পরবর্তী কালে চন্দনপুরে রেলের কারখানা হবার সুবাদে গ্রামের ছেলে করালী হল প্রথম কারখানার শ্রমিক। করালী ধীরে ধীরে কাহার পড়ার পুরানো বিশ্বাসে ভাঙন আনতে থাকে, সে প্রথমে কত্তা বাবার বাহন সাপটিকে পুড়িয়ে মারে, তার পর বেলতলা ও শ্যাওড়া গাছের বন পরিষ্কার করে। ধীরে ধীরে কাহার দের পুরানো বিশ্বাস ও সংস্কারের পরিবর্তন সাধিত হল।

চলচ্চিত্রায়ন

[সম্পাদনা]

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা উপন্যাসটিকে ১৯৬২ সালে চলচ্চিত্রে রূপান্তর করেন বিশিষ্ট পরিচালক তপন সিংহচলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন যথাক্রমে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ অভিনেতারা।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Dalal, Roshen (২০১৭-০৮-২৩)। India at 70: snapshots since Independenc (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 978-93-86815-37-8 
  2. বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশংকর (২০১০)। The tale of Hansuli Turn। Ben Conisbee Baer। New York: Columbia University Press। আইএসবিএন 978-0-231-52022-5ওসিএলসি 732958570 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]