হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ
ধরন | সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ২০১৭ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. সুনির্মল রায় |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩১ |
শিক্ষার্থী | ৩০০ |
স্নাতক | ৩০০ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | ইংরেজী |
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়।[১] ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মেডিকেল কলেজটি তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।[২] কলেজটির অবস্থান হবিগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে। উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট, পূর্বে মৌলভীবাজার, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাঝে অবস্থিত দেশের ৩১তম সরকারি মেডিকেল কলেজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ নতুন মাঠে এক জনসভায় হবিগঞ্জে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীকে ভর্তির জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।[৩] ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে ডা. মো. আবু সুফিয়ানকে নিয়োগ দেয়া হয়।[৩] কিন্তু ক্লাস নেয়ার জন্য স্থান না পাওয়ায় তখন কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনুমোদন পায়নি। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী; যার মধ্যে ১৮ জন ছাত্র এবং ৩৩ জন ছাত্রী, নিয়ে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।[২] ২০২৪ সালে এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ করা হয়।[৪]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]এই কলেজটি হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ক্লাস শুরু করেছে।[৫] শ্রেণীকক্ষ হিসেবে নব-নির্মিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির ২য় ও ৩য় তলাকে নির্বাচন করা হয়েছে।[২] পরবর্তীতে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের পাশে সদর উপজেলায় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।[৫] এই মেডিকেল কলেজ হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।
শিক্ষাক্রম
[সম্পাদনা]প্রথম ব্যাচ, অংকুর (শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮) এর চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৭৬%। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে চলছে শেহামেক, হবিগঞ্জ এর পাঠদান কার্যক্রম। বর্তমানে ৬টি ব্যাচ এর শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলীর সহায়তায় বেশ কয়েকটি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "শেখ হাসিনার নামে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের নামকরণ"। মানবজমিন। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "হবিগঞ্জে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ"। dmpnews। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ "যাত্রা শুরু হলো শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-১১-১৯)। "আরও ৩ মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন, বঙ্গবন্ধু-হাসিনার নাম বাদ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২০।
- ↑ ক খ "হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে পাঠদান শুরু"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |