শ্রমিকদের মধ্যে নারী
শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ এবং তা হতে রোজগার আধুনিক কালে লক্ষনীয় যা পুরুষের কর্মক্ষেত্রের বিস্তারের সমসাময়িককালে বিকশিত হয়েছে, কিন্তু কর্মক্ষেত্রের বৈষম্য নারীকে হুমকির সম্মুখীন করেছে। সুদীর্ঘকালের ধর্মীয় ও শিক্ষাগত প্রচলন হতে উদ্ভ’ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিধি-নিষেধ নারীকে আধুনিককালের পূর্ব পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে। পুরুষের উপর অর্থনৈতিক নিভর্রশীলতা এবং ফলশ্রতিতে নারীর নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থান একই প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ ভাবে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীজুড়ে পেশাদারী জীবিকার উদ্ভবের ফলে।
উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কম থাকায় নারীরা উচ্চ পর্যায়ের ভাল বেতনের চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ এবং সনদ দানে অস্বীকৃতি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তাদেরকে উচ্চমানের পেশায় অংশগ্রহণকে বিলম্বিত করেছে; যেমন ১৯৪৭ সালের শেষ দিকে কেবলমাত্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় নারীদের পূর্ণ সনদ লাভের স্বীকৃতি দেয়, যদিও তা ব্যাপক বিরোধীতা ও তিক্ত বিতর্কের পর। যা হোক, বিংশ শতাব্দী জুড়ে কার্যালয় কেন্দ্রিক শমশক্তির প্রবণতার বৃদ্ধি মানুষের আয়মূলক কাজের ধ্যান ধারনায় পরিবর্তন আনে। এ সময় নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়; যা তাদেরকে স্বল্পমেয়াদী ও নিম্নদক্ষতার পেশা হতে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধাজনক পেশায় যেতে সাহায্য করে। তা সত্ত্বেও অবধারিত মাতৃত্বের কারণে নারীরা পুরুষের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থায় আছে। শিশু যতেনর প্রাথমিক দায়-দায়িত্ব নারীদের বলে বিবেচিত, ফলে জননী হিসেবে তাদের বেতন কম হয়, কারণ কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রসবের পর নারীকে দীর্ঘ সময়ের ছুটি দিতে চায় না।
শ্রমশক্তিতে নারীর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ, সারা বিশ্বব্যাপী আরও অধিক সম-শ্রমঘণ্টা নির্ধারন করেছে। যা হোক, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণের বিভেদ এখনো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লক্ষণীয়। উদাহরণ স্বরুপ ব্রিটেনে খুব অল্প নারীরাই প্রথম সন্তান জন্মাবার পর পূর্ণ-দিবস কাজে থাকে, কারণ যথেষ্ট শিশুযতœকেন্দ্র না থাকা এবং সন্তান জন্মদানের পর বেতন কর্তন, যা প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে ৯% এবং দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে ১৬%। [১][২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "How advancing women's equality can add $12 trillion to global growth | McKinsey"। www.mckinsey.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৮।
- ↑ "Women's solutions stories create a world where everyone thrives"। European Investment Bank (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৮।
- ↑ Feloni, Richard (২০১৯-০৩-০৮)। "If we closed the gender gap by 2025, the global economy could see a $28 trillion windfall"। Business Insider Nederland (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৮।