বিষয়বস্তুতে চলুন

মোস্তফা আলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এ্যাডভোকেট
মোস্তফা আলী
সিলেট-১৯ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯২১
হবিগঞ্জ, আসাম, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৬ জুলাই ১৯৭৫(1975-07-26) (বয়স ৫৩–৫৪)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

মোস্তফা আলী (১৯২১–২৬ জুলাই ১৯৭৫) বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন সিলেট-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[]

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

মোস্তফা আলী ১৯২১ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আসামের সিলেটের হবিগঞ্জ মহকুমার লাখাইয়ের মুড়িয়াউকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক, কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ১৯৪২ সালে বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪১ সালে আইন ডিগ্রী লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

মোস্তফা আলী আইনজীবী ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে তৎকালীন হবিগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও ১৯৫৮ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি হবিগঞ্জ মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও মুজিব নগরে বাংলাদেশ সরকারের উপআঞ্চলিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সিলেট-১৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৭ জুলাই ১৯৭৫ সালে তিনি বাকশাল সরকারের হবিগঞ্জ মহকুমার গভর্নর নিযুক্ত হন।

এছাড়াও তিনি হবিগঞ্জ শাখা রেডক্রসের চেয়ারম্যান এবং ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ মেয়াদে হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

মোস্তফা আলী ২৬ জুলাই ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।