মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ | |
নীতিবাক্য | "Learn, Create, Lead" |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | শেখো-সৃজন করো-নেতৃত্ব দাও |
কর্তৃপক্ষ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
ধরন | উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান |
স্থাপিত | ২ জানুয়ারি ২০১৪ |
অধিভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
ইআইআইএন | ১৩৬৭৮৮ |
চেয়ারম্যান | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আক্তার শহীদ, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জি+ |
অধ্যক্ষ | ল্যাফটেনেন্ট কর্ণেল কে এম সুলায়মান আল মামুন,পিএসসি |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৭০ |
শিক্ষার্থী | ৭,০০০ জন |
ঠিকানা | , , , , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ৩.৮৩ একর (১.৫৫ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
দলের নাম |
|
বার্ষিক ম্যাগাজিন | দীপান্বিতা |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল |
ওয়েবসাইট | www |
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত।[১] কলেজটি মূলত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের জন্য হলেও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানরাও এতে পড়াশোনা করতে পারে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মিরপুর ডিওএইচএস সংলগ্ন মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের এডুকেশন ভিলেজে প্রায় ৩.৮৩ একর জমির উপর নির্মিত মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের স্বপ্নীল যাত্রা ২০১৪ সালের ২রা জানুয়ারি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ভার্সনে নার্সারি হতে দ্বাদশ শ্রেণি এবং ইংরেজি ভার্সনে নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ৭০০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করছে। বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ১৭০ জন।[১]
অবস্থান ও অবকাঠামো
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের মিরপুর সেনানিবাসের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৪ একর জমির উপর কলেজটি অবস্থিত।
শিক্ষা কার্যক্রম ও পদ্ধতি
[সম্পাদনা]"শেখো-সৃজন করো-নেতৃত্ব দাও" - কলেজটির মূলমন্ত্র।
শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম
[সম্পাদনা]২০১৯ সাল থেকে কলেজ শাখায় ইংরেজি ভার্সন ও মানবিক বিভাগ চালুকরণ। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ভার্সনে নার্সারি হতে দ্বাদশ শ্রেণি এবং ইংরেজি ভার্সনে নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ৬৫০০ জন এর অধিক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করছে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কলেজটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সুপরিচিত। সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের ৪টি হাউসে (বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বংশী) বিভক্ত করা হয়েছে ।[২]
কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার পাশাপাশি নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে রয়েছে বিতর্ক ও ক্রীড়া সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন ইত্যাদি।
সারা বছর কলেজটিতে বিভিন্ন ক্লাব পরিচালিত হয়। ক্লাবগুলো হলো:
- এমসিপিএসসি ডিবেটিং ক্লাব
- এমসিপিএসসি রোবোটিক্স ক্লাব
- এমসিপিএসসি সায়েন্স ক্লাব
- এমসিপিএসসি ফটোগ্রাফি ক্লাব
- এমসিপিএসসি আবৃত্তি ক্লাব
- এমসিপিএসসি আইটি ক্লাব
- এমসিপিএসসি সাহিত্য ক্লাব
- এমসিপিএসসি কুইজ ক্লাব
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)
এছাড়াও খেলাধুলার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক মনোবল দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে কলেজ কর্তৃক প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।[৩][৪]
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- [[বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা]]
MCPSC.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Mirpur Cantonment Public School and College"। mcpsc.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৫।
- ↑ "Mirpur Cant. Public School and College inter-house annual sports held"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৯-০১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৬।
- ↑ "মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের আন্ত:হাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৬।
- ↑ "মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সমাপ্ত"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৬।