বিষয়বস্তুতে চলুন

মধুমতি মিত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাননীয় বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত)
মধুমতি মিত্র
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক
কাজের মেয়াদ
১২ই অক্টোবর ২০১৮ – ৩০শে মে ২০২০
মনোনয়নকারীরঞ্জন গগৈ
নিয়োগদাতারামনাথ কোবিন্দ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1958-05-31) ৩১ মে ১৯৫৮ (বয়স ৬৬)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

মধুমতি মিত্র (জন্ম ৩১শে মে ১৯৫৮) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের একজন প্রাক্তন বিচারপতি।[] হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি কিছুদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং তার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হাইকোর্টের বিচারক হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে, তিনি সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলা সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মামলায় রায় দিয়েছেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

মধুমতি মিত্র ১৯৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের পাশাপাশি তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং নারকোটিক ড্রাগস অ্যাণ্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্স অ্যাক্টের অধীনে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে বিচার করেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। আইনের উপসচিব হিসাবে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ এবং আন্দামান ও নিকোবর সরকারকে আইনি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার-জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন।[]

একজন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হিসাবে, মধুমতি মিত্র ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা নেতাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় রায় দেন। এই মামলায় নয়জন নিহত হয়েছিল এবং মাওবাদী বিদ্রোহীরা অভিযুক্ত ছিল।[]

২০১৮ সালে, মধুমতি মিত্রকে পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। দুজন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল যাঁরা সেই বছরের শুরুতে কিছুদিনের জন্য এই পদটিতে ছিলেন। মধুমতি মিত্র তিন মাসের জন্য নিযুক্ত ছিলেন এবং তারপর তিনি পদত্যাগ করেন।[][][] তিনি ২০১৮ সালের ১২ই অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০২০ সালের এপ্রিলে তাঁর নিয়োগ স্থায়ী করা হয়।[][]

২০১৯ সালে, মধুমতি মিত্র ছিলেন বেশ কয়েকজন বিচারকের মধ্যে একজন যাঁরা ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে মামলার রায় দিয়েছিলেন। তিনি এই বিচারের সময় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে একজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার হিসাবে তাঁর মর্যাদা, তদন্তের সময় তাঁকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেয় না।[][][১০][১১] ২০১৯ সালের জুন মাসে, মধুমতি মিত্র একটি উল্লেখযোগ্য রায় লিখেছিলেন। তাঁর রায়ে এই নীতিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে গার্হস্থ্য সহিংসতা আইনের (ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট) অধীনে বিবাহবিচ্ছেদের আগে প্রদত্ত রক্ষণাবেক্ষণের আদেশগুলি বিবাহবিচ্ছেদের পরেও বলবৎ থাকবে যদি প্রশ্নে থাকা স্বামী / স্ত্রী নিজেকে সমর্থন করতে অক্ষম হয়।[১২]

মধুমতি মিত্র ২০২০ সালের ৩০শে মে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[]

মধুমতি মিত্র শ্রীরামপুর কলেজে তাঁর স্নাতক শিক্ষা শেষ করে বিএ অর্জন করেন। তারপর তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ল থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Justice Madhumati Misra - Former Judge"Calcutta High Court 
  2. "Netai massacre case: Trial fails to start"Zee News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  3. Ganz, Kian। "NUJS gets 3rd acting registrar this year: district judge Sikha Sen • Students release performance report"www.legallyindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  4. Ganz, Kian। "Madhumati Mitra, brief acting registrar of NUJS, to become Calcutta HC judge"www.legallyindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  5. "Legislating 'National' Out of National Law Universities in West Bengal"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  6. Network, Live Law News (২০১৮-১০-১১)। "Three Additional Judges Appointed In Calcutta HC [Read Notification]"www.livelaw.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  7. "Justice Madhumati Mitra, Additional Judge of Cal HC to be a Permanent Judge -- Recommendation approved by SC Collegium"SCC Blog (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৪-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  8. "CBI in pick and choose game in summoning me: Ex-top cop Rajeev Kumar to Calcutta HC"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  9. "Former Kolkata Top Cop Rajeev Kumar Didn't Appear Before CBI on Frivolous Grounds, Probe Agency Tells Calcutta HC"News18 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  10. Singh, Shiv Sahay (২০১৯-১০-০১)। "Saradha scam: Rajeev Kumar gets anticipatory bail from Calcutta HC"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  11. "As HC withdraws protection from arrest, CBI summons ex-Kolkata police chief"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-১৩। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬ 
  12. Kini, Ashok (২০১৯-০৬-২৯)। "Domestic Violence Act: 'Divorced Wife' Entitled To Execute Orders Granted Prior To Decree Of Divorce: Calcutta HC [Read Judgment]"www.livelaw.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬