বিষয়বস্তুতে চলুন

ধলাঘাড় মাছরাঙা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধলাঘাড় মাছরাঙা
Todiramphus chloris humii
লিয়াম ফাক বিয়া, পেটচাবুরি, থাইল্যান্ড
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Coraciiformes
পরিবার: Halcyonidae
গণ: Todiramphus
প্রজাতি: T. chloris
দ্বিপদী নাম
Todiramphus chloris
(Boddaert, 1783)
প্রতিশব্দ
  • Halcyon chloris
  • Todirhamphus chloris

ধলাঘাড় মাছরাঙা (Todiramphus chloris) বা সবুজাভ মাছরাঙা হল একপ্রকারের মাঝারি আকারের মাছরাঙা যারা প্রধানত হ্যালসায়োনিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, গেছো মাছরাঙা দের দল। এদেরকে অনেকসময় সাদা কলার্ড মাছরাঙা অথবা ম্যানগ্রোভ মাছরাঙা বলা হয়ে থাকে। এদের লোহিত সাগর থেকে দক্ষিণ এশিয়া, এবং অস্ট্রালেশিয়া থেকে পলিনেশিয়া পর্যন্ত এদের বিস্তার। এদের অনেকগুলো উপজাতি আছে যাদের সংখ্যা প্রায় ৫০ টা।

বর্ণনা

[সম্পাদনা]
মহিলা, ফিজি

এই প্রজাতির মাছরাঙারা ২২ থেকে ২৯ সেমি (৮.৭ থেকে ১১.৪ ইঞ্চি) লম্বা এবং এদের ওজন হয় ৫১ থেকে ৯০ গ্রাম (১.৮ থেকে ৩.২ আউন্স)। এরা নীল থেকে সবুজের মধ্যে গায়ের রঙের পরিবর্তন হয় যেখানে দেহের নিচের অংশ সাদা রঙের হয়। এদের গলার চারপাশে সাদা রঙের একটা কলারের মতোন অংশ দেখতে পাওয়া যায়, এবং এই জন্যই এই প্রজাতির এইরূপ নামকরণ। কিছু প্রজাতির চোখের অপরে সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায় এবং অন্যান্যদের চোখ এবং ঠোঁটের মধ্যে সাদা স্পট দেখতে পাওয়া যায়। চোখের মধ্যে দিয়ে কালো রঙের স্ট্রাইপ থাকতে পারে। এদের বড়ো আকারের ঠোঁট হয় এবং তার রঙ হয় কালো এবং নিচের চোয়ালে একটা ফ্যাকাশে আভা দেখতে পাওয়া যা���়।

মহিলা মাছরাঙারা পুরুষদের থেকে আরোও বেশি সব্জে রঙের হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখিরা দেখতে অনেকটা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়। এদের ঘাড় ও বুকের অপরে গাঢ় রঙের দাগ থাকে।

এদের বিভিন্ন রকমের ডাক আছে যা ভৌগোলিক অবস্থানের সাথে পরিবর্তন হয়। এদের সবথেকে পরিচিত ডাক খুব জোরে, কর্কশ এবং তারা বার বার ডাকতে থাকে।

উপজাতিদের মাথার গড়ন: T. c. armstrongi (ওপরে), T. c. solomonis (মধ্যে), T. c. chloris (নিচে)

বিস্তার এবং বাসস্থান

[সম্পাদনা]

এদেরকে খুব সাধারণভাবে বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় এবং বিশেষত ম্যানগ্রোভ এলাকায়। এদেরকে চাষের জমি, খোলা সমতলভূমি অথবা ঘাসের জায়গাতেও দেখতে পাওয়া যায়। কিছু কিছু জায়গায় এদের বাসস্থন পুরোপুরি দ্বীপপুঞ্জের ওপরে। এদেরকে প্রধানত দেখতে পাওয়া যায় বনে জঙ্গলে এবং পার্বত্য এলাকায়। এদেরকে অনেকসময় তার, পাথর এবং খোলামেলা গাছের ডালের ওপরে বসে থাকতে দেখা যায় শিকার ধরবার আগে।

এদের সবথেকে বেশি যে উপজাতিকে দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো হল ইউরেশিয়া/আফ্রিকার T. c. abyssinica। এদেরকে প্রধানত উত্তর পূর্ব আফ্রিকা তে দেখতে পাওয়া যায় এবং এছাড়াও সুদানসোমালিয়া প্রভৃতি দেশেও এদের বিস্তার আছে। আরব উপদ্বীপের কাছে এদের একটা প্রজাতি বসবাস করে, T. c. kalbaensis এবং এরা প্রধানত বিপজ্জনক প্রজাতির মধ্যে পাড়ে কারণ মাত্র ৫৫ টা জোড়া এখনও অবধি আছে বলে মানা হয়। এগুলো ছাড়াও ভারত এবং বাংলাদেশে এদের কিছু কিছু উপজাতিদের দেখা মেলে। এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জতে কিছু প্রজাতিদের দেখতে পাওয়া যায়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এই দুটো জায়গায় এই প্রজাতিগুলো খুব ব্যাপক ভাবে বিস্তার করে। এবং নিউ গিনি এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়া দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দেরকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। যামন এদের মধ্যে জায়গাগুলো হল বিস্মার্ক আরকিপেলাগো, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াটু, ফিজি, টোঙ্গা, আমেরিকান সামোয়া, পালাউ এবং উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ

উপজাতিদের তালিকা

[সম্পাদনা]

এদের অনেক উপজাতি উপকূলীয় প্রধানত লোহিত সাগর থেকে পলিনেশিয়া পর্যন্ত এদের বিস্তার:[]

লোহিত সাগর এবং আরবিয়ান উপকূল

[সম্পাদনা]

ভারত ও ভারত মহাসাগর

[সম্পাদনা]

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া

[সম্পাদনা]

ওয়ালেসিয়া, নিউ গিনি এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়া

[সম্পাদনা]

মাইক্রোনেশিয়া

[সম্পাদনা]

মেলানেশিয়া

[সম্পাদনা]
পাপুয়া নিউগিনি দ্বীপপুঞ্জ
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
ভানুয়াতু
ফিজি

পলিনেশিয়া

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. BirdLife International (২০১২)। "Todiramphus chloris"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর��জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "Collared Kingfisher (Todiramphus chloris)"Internet Bird Collection (HBW 6, p.219)। Lynx Editions। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-০৩ 
  3. Gray, Jeannie; Fraser, Ian (২০১৩)। Australian Bird Names: A Complete Guide। Csiro Publishing। পৃষ্ঠা 180। আইএসবিএন 978-0-643-10471-6 
  4. Higgins, P.J, সম্পাদক (১৯৯৯)। Handbook of Australian Birds (পিডিএফ)। Melbourne: OUP। পৃষ্ঠা 1178। ১৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪ 
  • Rob Baldwin & Colin Richardson, Mangroves: Arabian sea forests, accessed 11/04/07.
  • Heinrich L. Bregulla (1992) Birds of Vanuatu, Anthony Nelson, Oswestry, England.
  • C Hilary Fry, Kathie Fry & Alan Harris (1992) Kingfishers, Bee-eaters & Rollers, Christopher Helm (Publishers) Ltd., London.
  • Graham Pizzey & Frank Knight (1997) The Graham Pizzey & Frank Knight Field Guide to the Birds of Australia, HarperCollins, London, UK.
  • Craig Robson (2002) A Field Guide to the Birds of South-East Asia, New Holland Publishers (UK) Ltd.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]