জালাল বায়ার
জালাল বায়ার | |
---|---|
Celâl Bayar | |
তুরস্কের ৩য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২২ মে ১৯৫০ – ২৭ মে ১৯৬০ | |
প্রধানমন্ত্রী | আদনান মেন্দেরেস |
পূর্বসূরী | ইসমত ইনোনু |
উত্তরসূরী | জামাল গুরসাল |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭ – ২৫ জানুয়ারি ১৯৩৯ | |
রাষ্ট্রপতি | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ইসমত ইনোনু |
পূর্বসূরী | ইসমত ইনোনু |
উত্তরসূরী | রফিক সাইদাম |
ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা | |
কাজের মেয়াদ ৭ জুন ১৯৪৬ – ৯ জুন ১৯৫০ | |
পূর্বসূরী | নতুন দপ্তর |
উত্তরসূরী | আদনান মেন্দেরেস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জেমলিক, উসমানীয় সাম্রাজ্য | ১৬ মে ১৮৮৩
মৃত্যু | ত্রুটি: বয়স গণনা করার জন্য তারিখগুলি অবৈধ ইস্তানবুল, তুরস্ক |
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক পার্টি (১৯৪৬–১৯৬১) রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি (১৮২৩–১৯৪৫) কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেস (১৯০৮–১৯২২) |
দাম্পত্য সঙ্গী | রশিদা বায়ার (১৮৮৬-১৯৬২) |
ধর্ম | ইসলাম |
স্বাক্ষর |
মাহমুদ জালাল বায়ার (১৬ মে ১৮৮৩ – ২২ আগস্ট ১৯৮৬) ছিলেন একজন তুর্কি রাজনীতিবিদ ও তুরস্কের ৩য় রাষ্ট্রপতি। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এর পূর্বে ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লিজিওন অব মেরিট পদক পান।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]জালাল বায়ার ১৮৮৩ সালে বুরসার জেমলিকের গ্রাম উমুরবেতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবা ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষক এবং উসমানীয় বুলগেরিয়া থেকে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন। জালাল তার শিক্ষাগ্রহণ শেষে চাকরিতে প্রবেশ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]১৯০৮ সালে কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেসে যোগ দেন। বুরসা ও ইজমিরে দলের শাখায় তিনি মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
১৯১৯ সালে বায়ার উসমানীয় সংসদে সারুহানের (বর্তমান মানিসা) ডেপুটি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯২০ সালে তিনি আঙ্কারায় মোস্তফা কামালের সাথে যোগ দেন এবং তুরস্কের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি মুদাফা-ই হুকুক জামিয়েতি এর সক্রিয় সদস্য হন। নবগঠিত গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলিতে তিনি বুরসার ডেপুটি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছর তিনি উপঅর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি অর্থমন্ত্রী হন। চেরকেস এথেম বিদ্রোহের সময় তিনি আলোচনা কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯২২ সালে লুসান শান্তি সম্মেলনে তিনি ইসমত ইনোনুর উপদেষ্টা হিসেবে তুর্কি প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন। ১৯২৩ সালের নির্বাচনের পর তিনি সংসদে ইজমিরের ডেপুটি হন। ১৯২৪ সালের ৬ মার্চ তিনি জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হন[২] ১৯২৪ সালের ২৬ আগস্ট তিনি আঙ্কারায় তুর্কিয়ে ইশ ব্যাংকাসি নামক ব্যাংক গঠন করেন। তিনি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন।
১৯৩৭ সালের ২৫ অক্টোবর মোস্তফা কামাল কর্তৃক বায়ার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আতাতুর্কের মৃত্যু এবং ইসমত ইনোনুর ক্ষমতাগ্রহণের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। ইনোনুর সাথে মতপার্থক্যের কারণে তিনি ১৯৩৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন।
১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি আদনান মেন্দেরেস, ফুয়াদ কোপরুলু ও রফিক কোরাইতানের সাথে মিলে ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠন করেন। ১৯৫০ সালের ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই দল ৪৮৭টি আসনের মধ্যে ৪০৮টি আসন লাভ করেছিল। বায়ার এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ ও ১৯৫৭ সালে তিনি পুননির্বাচিত হন। এসময় আদনান মেন্দেরেস প্���ধানমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৬০ সালের অভ্যুত্থান
[সম্পাদনা]১৯৬০ সালের ২৭ মে তুরস্কের সশস্ত্র অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ১০ জুন জালাল বায়ার, আদনান মেন্দেরেসসহ কয়েকজন নেতাকে সামরিক আদালতে প্রেরণ করা হয়। তিনিসহ ১৫জন দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়। ১৯৬১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সামরিক আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। সামরিক সরকার মেন্দেরেস, জোরলু ও পোলাতকানের মৃত্যুদন্ড অনুমোদন করলেও বায়ারসহ বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়। বায়ারকে কায়সারির কারাগারে প্রেরণ করা হয়। স্বাস্থ্যগত কারণে ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৬ সালে বায়ার ক্ষমাপ্রাপ্ত হন।[৩] ১৯৭৪ সালে তার রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে তিনি তুরস্কের সিনেটে আজীবন সদস্য হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এই যুক্তিতে যে শুধুমাত্র নির্বাচিতরাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।[৪] ১৯৮৬ সালের ২২ আগস্ট তিনি ইস্তানবুলে মৃত্যুবরণ করেন।
পুরস্কার ও নামকরণ
[সম্পাদনা]১৯৫৪ সালে তিনি অর্ডার অব মেরিট অব দ্য ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি লাভ করেন। ১৯৫৪ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লিজিওন অব অনার পদক পান। সেই বছর বেলগ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৫৮ সালে ফ্রি ইউনিভার্সিটি বার্লিন তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। ১৯৯২ সালে তার নামে মানিসায় জালাল বায়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]গ্রন্থ
[সম্পাদনা]- Kayseri Cezaevi Günlüğü (Kayseri Prison Diary), Yapı Kredi yayınları/Tarih dizisi.
- Ben De Yazdım – Milli Mücadeleye Gidiş (And so I wrote – Going to the War of National Independence) 8 volumes., Sabah kitapları/Türkiyeden dizisi, 1965–1972.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Frank W. Thackeray; John E. Findling; ও অন্যান্য (২০০১)। The History of Turkey। Westport, CT: Greenwood Press। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩। – via Questia (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ Erhard Franz: "Biographien führender Persönlichkeiten des öffentlichen Lebens. Bayar, Mahmut Celâl", in: Klaus-Detlev Grothusen (Hrg.): "Türkei. Südosteuropa-Handbuch. Band IV", Vandenhoeck & Ruprecht, Göttingen 1985 আইএসবিএন ৩-৫২৫-৩৬২০৪-৮, p. 760.
- ↑ Celâl Bayar Encyclopedia Britannica. Retrieved 20 December 2013.
- ↑ Celal Bayar website
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ইসমত ইনোনু |
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭ – ২৫ জানুয়ারি ১৯৩৯ |
উত্তরসূরী রফিক সাইদাম |
পূর্বসূরী ইসমত ইনোনু |
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ২২ মে ১৯৫০ – ২৭ মে ১৯৬০ |
উত্তরসূরী জামাল গুরসাল |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
নতুন রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ৭ জুন ১৯৪৬ – ৯ জুন ১৯৫০ |
উত্তরসূরী আদনান মেন্দেরেস |