বিষয়বস্তুতে চলুন

কাশিম ওমর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাশিম ওমর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কাশিম আলী ওমর
জন্ম (1957-02-09) ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ (বয়স ৬৭)
নাইরোবি, কেনিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৬)
২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২০ নভেম্বর ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৫)
১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই৭ জানুয়ারি ১৯৮৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৬ ৩১
রানের সংখ্যা ১৫০২ ৬৪২
ব্যাটিং গড় ৩৬.৬৩ ২২.৯২
১০০/৫০ ৩/৫ -/৪
সর্বোচ্চ রান ২১০ ৬৯
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/- ৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ নভেম্বর ২০২০

কাশিম আলী ওমর (উর্দু: قاسم عمر‎‎; জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭) নাইরোবি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কেনীয় বংশোদ্ভূত সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক ও সিন্ধু এবং ইংরেজ ক্রিকেটে কাম্বারল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন কাশিম ওমর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

কেনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কাশিম ওমর ১৯৫৭ সালে পরিবারের সাথে পাকিস্তানে অভিবাসিত হন। তার মাতা কেনীয়। পূর্ব আফ্রিকান সংস্কৃতির ধারক হিসেবে প্রায়শঃই তাকে ভুলবশতঃ শিদি সম্প্রদায়ের সদস্যরূপে চিত্রিত করা হয়ে থাকে।[][] ১৯৭৪ সালে ক্রিকেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে খ্যাতিমান ব্যক্তিমালিকানাধীন বালকের বিদ্যালয় সেন্ট পলস ইংলিশ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন লাভ করেন।

১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ সাল পর্যন্ত কাশিম ওমরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তিনি পাকিস্তানের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও মাঝারিসারিতে যে-কোন অবস্থানে খেলতেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়�� জীবনে ছাব্বিশটি টেস্ট ও একত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন কাশিম ওমর। ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে জলন্ধরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ নভেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে করাচিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে জলন্ধরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলায় অংশ নেন। মাত্র চার বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে ২৬ টেস্টে অংশ নিয়ে ৩৬.৬৩ গড়ে ১৫০২ রান তুলেন। তন্মধ্যে, দুইটি দ্বি-শতক, একটি শতক ও পাঁচ অর্ধ-শতক ছিল। এছাড়াও, ফিল্ডার হিসেবে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। ১৫টি ক্যাচ তালু��ন্দী করেছিলেন তিনি।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ফয়সালাবাদে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১০ রান তুলেন। এ পর্যায়ে মুদাসসর নজরের সাথে রেকর্ডসংখ্যক ২৫০ রানের জুটি গড়েন। এছাড়াও, তসলিম আরিফের সাথে ফয়সালাবাদে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ডের সাথে যুক্ত হন। এরপর, ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে একই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৬ রান করেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ডুনেডিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৯৬ ও ৮৯ রান করেন। সবমিলিয়ে ৩১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে চারটি অর্ধ-শতক নিয়ে ৬৪২ রান করেন। তন্মধ্যে, ব্যক্তিগত সেরা করেন ৬৯ রান।

নিষেধাজ্ঞা লাভ

[সম্পাদনা]

তিনবার আন্তর্জাতিক ও পাঁচবার ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে খেলেন। এরপর, পাতানো খেলায় অংশগ্রহণের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন।[] ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দূর্নীতির অভিযোগে দোষী হন। এক পর্যায়ে তিনি আরও কয়েকজন সন্দেহজনক শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়ের কথা জানিয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা লাভের পর তিনি পাকিস্তান ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করতে থাকেন।[]

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটে বিনোদন ও ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে মাদকের ব্যবহার করার কথা জানান।[] এছাড়াও, কয়েকটি খেলায় সাধারণমানের খেলার পর তিনি পতিতাদের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার[][] বিষয়ে তার দলীয় সঙ্গীদেরকে দোষী করেন ও উপহার গ্রহণ করতেন।[]

ইমরান বিরোধী প্রচারণার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামের কাছাকাছি উড়াল সেঁতু তার নামে নামাঙ্কিত করে।[]

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন ১২ জানুয়ারি, ১৯৮৪ ৬৯ (৭৮ বল, ৪x৪)  পাকিস্তান ৯৭ রানে বিজয়ী।[১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Pakistan's whistle-blower, BBC
  2. "The wrong World Cup"। ১৪ জুন ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫No, one-drop batsman Qasim Umar was not a Sheedi, he only looked like one because of his Kenyan mother. 
  3. Mukherjee, Abhishek (২০১৪-০২-১৯)। "Qasim Umar: One of the earliest to speak against match-fixing in cricket"Cricket Country (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭ 
  4. Mukherjee, Abhishek (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Qasim Umar: One of the earliest to speak against match-fixing in cricket"Cricket Country 
  5. "Viv took drugs: Qasim Umar | Latest News & Updates at Daily News & Analysis"dna (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৮-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭ 
  6. Radford, Brian (২০০১-০১-২১)। "Call girls to be questioned in cricket scandal"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭ 
  7. Paracha, Nadeem F. (২০১০-০৯-২৩)। "Pakistan cricket: great rivalries and bust ups"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭ 
  8. "Omar points finger at bookies" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০১-০২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৭ 
  9. "The Imran Khans I've known"Cricinfo 
  10. "1983–1984 Benson & Hedges World Series Cup – 3rd Match – Pakistan v West Indies – Melbourne" 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]