অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ
SEBA | |
গঠিত | ২৯ জানুয়ারী ১৯৬২ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | এস সি রাজখোয়া |
ধরন | স্বায়ত্বশাসিত, সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | গুয়াহাটি, অসম, ভারত |
দাপ্তরিক ভাষা | অসমীয়া, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দী |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | শিক্ষা মন্ত্রালয়, অসম সরকার |
ওয়েবসাইট | http://online.assam.gov.in/web/seba/ |
অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ (অসমীয়া: অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ; ইংরেজি: Secondary Education Board of Assam) অসমের মাধ্যমিক ও উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের স্বীকৃতি প্রদান, বিদ্যালয়সমূহের উন্নতমানের শিক্ষার নিশ্চিতকরণ ও পরীক্ষা আয়োজনের কতৃত্ব থকা রাজ্যিক পর্যায়ের পরিষদ। এই পরিষদ অসমে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষান্ত পরীক্ষা আয়োজন করে ও উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমাণ পত্র প্রদান করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]অসমের মাধ্যমিক শিক্ষার নিরীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও বিকাশের হেতু এক মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদর গঠনের জন্য অসম মাধ্যমিক শিক্ষা অধিনিময় ১৯৬১ (The Assam Secondary Education Act, 1961) (Assam Act, XXV of 1961) জারী করা হয়। অসম সরকারের শিক্ষা বিভাগে ১৯৬২ সনের ২৯ জানুয়ারী তারিখে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তি নং ১৫৯/৬১/৩৭ দ্বারা অধিনিয়ম প্রথম কার্যকর করা হয়। এইভাবে ১৯৬২ সনের ১৪ মার্চ তারিখে অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬২ সনে উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষান্ত পরীক্ষা পরিচালনা দ্বারা এই পরিষদ নিজ কর্মারম্ভ করেন। অধিনিয়মের অনুসারে অসম সরকার এস সি রাজখোয়াকে (ডি পি আই) অধ্যক্ষ, ও ম: এম. ইসলামকে ( বিদ্যালয় পরিদর্শক, মধ্য অসম) দ্বায়িত্বে পরিষদ গঠন করেন।
কার্যালয়
[সম্পাদনা]প্রথমে শিলংস্থিত ডি.পি.আই কার্যালয়ের কন্ফারেন্স রুমে পরিষদ কর্মারম্ভ করেন। পরে গুয়াহাটির রিহাবাড়ির এক ভাড়া গৃহে কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়। এই ভাড়াগৃহে ১৯৬২ সনের ১ জুলাই ১৯৬৩ সনের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্য করা হয়। তারপর গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাণবাজারে অবস্থিত পুরণি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্ধণ করে ১৯৬৩ সনের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৭৬ সনের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত পরিষদে কার্য চলায়। প্রথম অবস্থায় সমগ্র উত্তর-পূর্ব অবিভক্ত অসমে অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের কর্মপরিসর ছিল। পরবর্তী সময়ে অসম থেকে বিছিন্ন হয়ে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়,মিজোরাম ও ত্রিপুরা গঠিত হওয়ায় ও প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষা পরিষদ থাকায় অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ কর্মপরিসর হ্রাস পায়। বর্তমান পরিষদটি অসম রাজ্যের শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে।