ফেদেরিকো ফেল্লিনি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ Muhammad ব্যবহারকারী ফেদেরিকো ফেলিনি পাতাটিকে ফেদেরিকো ফেল্লিনি শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩৫ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার বিজয়ী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার বিজয়ী]] |
||
[[en:Federico Fellini]] |
১০:১৪, ১০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ফেদেরিকো ফেল্লিনি | |
---|---|
জন্ম | রিমিনি, ইতালি | ২০ জানুয়ারি ১৯২০
মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ১৯৯৩ রোম, ইতালি | (বয়স ৭৩)
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার |
কর্মজীবন | ১৯৪৫-৯২ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | জুলিয়েত্তা মাসিনা (১৯৪৩-৯৩) |
ফেদেরিকো ফেল্লিনি (ইতালীয়: Federico Fellini; জানুয়ারি ২০, ১৯২০ - অক্টোবর ৩১, ১৯৯৩) ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যুগের সবচেয়ে অনন্য ও বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের একজন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি ইতালীয় নব্য-বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র আন্দোলন শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, কিন্তু পরে নিজের একটি অনন্য স্টাইল তৈরি করেন। তার সিনেমাগুলো অনেকাংশেই আত্মজীবনীমূলক এবং তিনি বাস্তবতার সাথে অবাস্তব, হ্যালুসিনেশন-মূলক দৃশ্য জুড়ে দিতেন। তার সিনেমায় মানুষের সবচেয়ে উদ্ভট দিকটা সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে।[১]
জীবনী
ফেল্লিনির শৈশব-কৈশোরের জীবন খুব একটা ঘটনাবহুল ছিল না, কিন্তু এ সময় কার্টুন আঁকার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। ঊনিশ বছর বয়সে রোমে আসার পর প্রথমে Marc'Aurelio সাময়িকীতে কার্টুন ও কৌতুক ছাপিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি Cico e Pallina নামের একটি রেডিও প্রোগ্রামের জন্য সংলাপ লিখতেন, এবং এই প্রোগ্রামের অভিনেত্রী জুলিয়েত্তা মাসিনা-কেই ১৯৪৩ সালে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৪৪ সালে তার সাথে পরিচালক রোবের্তো রোজেলিনি'র দেখা হয় যিনি তাকে রোমা, চিত্তা আপের্তা সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার দলে যুক্ত করেন। এই সিনেমা ইতালীয় নব্য-বাস্তবতা আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছিল এবং এর চিত্রনাট্য লেখায় অংশ নেয়ার জন্য ফেল্লিনি একটি অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিলেন।
ফেল্লিনি বেশ দ্রুত ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রনাট্যকারদের একজনে পরিণত হন। পিয়েত্রো জের্মি, আলবের্তো লাত্তুয়াদা, ও লুইজি কোমেঞ্চিনি'র মতো পরিচালকদের জন্য চিত্রনাট্য লিখলেও রোজেলিনির সিনেমার চিত্রনাট্যগুলোর জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন। রোজেলিনির পাইজা (১৯৪৬), ইল মিরাকোলো (১৯৪৮), ও এউরোপা '৫১ (১৯৫২) এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। এর মধ্যে পাইজা সম্ভবত নব্য-বাস্তবতাবাদের সবচেয়ে বিশুদ্ধ উদাহরণ, এবং এউরোপা '৫১ এ প্রথমবারের মতো যুদ্ধপরবর্তী প্রামাণ্যধর্মী নব্য-বাস্তবতা থেকে সরে এসে মনস্তাত্ত্বিক ও অস্তিত্ববিদ্যক বিষয় দেখানো শুরু হয়েছিল।
পরিচালক হিসেবে ফেল্লিনি'র প্রথম সিনেমা লাত্তুয়াদা'র সাথে যৌথভাবে করা লুচি দেল ভারিয়েতা (১৯৫১) যাতে প্রাদেশিক, মফস্বল জীবন দেখানো হয়েছিল। একই থিমে পরবর্তীতে আরো দুটি সিনেমা করেন যার মধ্যে শেষটি, ই ভিতেল্লোনি (১৯৫৩), প্রথমবারের মতো তাকে বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক সফলতা দিয়েছিল। সিনেমাটি ছিল মফস্বলের "mamma's boy" ধরনের মানুষদের নিয়ে এবং অনেকে এখনও একে ফেল্লিনির অন্যতম মাস্টারপিস মনে করেন।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "Federico Fellini" — ব্রিটানিকা সম্পাদকবৃন্দ, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪।