সূত্রাপুর গণহত্যা
সূত্রপুর হত্যাকাণ্ড | |
---|---|
স্থান | সূত্রপুর, পুরোনো ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান |
তারিখ | ২৭শে মার্চ, ১৯৭১ (ইউটিসি+৬:০০) |
লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
হামলার ধরন | হত্যাকাণ্ড, গণহত্যা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | রাইফেল |
নিহত | ১৫ |
হামলাকারী দল | পাকিস্তান সেনাবাহিনী |
সূত্রপুর হত্যাকাণ্ড বলতে ২৭শে মার্চ ১৯৭১, পুরোনো ঢাকার সূত্রপুরের মালাকারতলা গলির বাঙালি হিন্দু বাসিন্দাদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা ঘটা হত্যাকাণ্ডকে বোঝায়। পাক সেনারা ১৪ জন হিন্দু ও ১ জন মুসলিমকে লোহারপুলের ওপর লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]পুরোনো ঢাকার সূত্রধর এলাকাটা ঐতিহাসিকভাবেই হিন্দু অধ্যুষিত ছিল। এখানকার মানুষ ব্যবসা, চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ১৯৪৭শের পরে কিছু ধনী বিহারি মুসলিম ব্যবসায়ীরাও এখানে এসে থাকতে শুরু করে। ২৬শে মার্চ, সেনারা সূত্রপুর পুলিশ স্টেশনে বোমাবর্ষণ করে। কয়েকজন পুলিশ মারা যান, বাকিরা পালিয়ে যান। সেনারা ঐ পুলিশ স্টেশনেই ঘাঁটি গাড়ে।[১]
ঘটনাবলী
[সম্পাদনা]কারফিউ ঘোষণা করার পর থেকেই অনেকে বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে ওপারে চলে গেছিল। ২৭শে মার্চ বিকেলে ১১ জন স্থানীয় হিন্দুকে মালাকারতলা গলিতে বিহারিলাল মন্দিরের সামনে লাইন দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসিয়ে রাখে। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর বায়োকেমিস্ট্রির গবেষক ও শিক্ষক ডঃ হরিনাথ দে ছিলেন।[১] তারপর এদেরকে থানার মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়।
রাত ১০টায়, বন্দিদের লোহারপুলে নিয়ে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে। সেতুর নীচে ধোলাই খালে মৃতদেহগুলো ফেলে দেয়। গুলি খেয়েও ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর ইঞ্জিনিয়ার পরেশচন্দ্র দাস নাটকীয় ভাবে বেঁচে যান। সব হিন্দুবাড়িগুলো লুঠ করে। এমনকি বিহারিলাল মন্দিরের মার্বেল পাথরগুলোও খুলে নেয়।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ দাস, স্বপন কুমার (২৪ মার্চ ২০১২)। "সূত্রাপুরের মালাকারটোলা লেনে গণহত্যা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৪।