বিষয়বস্তুতে চলুন

শিশুপালগড়

স্থানাঙ্ক: ২০°১৩′৩৫.৯″ উত্তর ৮৫°৫১′১১.০″ পূর্ব / ২০.২২৬৬৩৯° উত্তর ৮৫.৮৫৩০৫৬° পূর্ব / 20.226639; 85.853056
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিশুপালগড়ের ধ্বংসাবশেষ
(Kiel Univ.)

শিশুপালগড় ভারতের ওড়িশা রাজ্যের খুরদা জেলায় অবস্থিত দুর্গ ধ্বংসাবশেষ।[] এটা ভারতের অন্যতম সংরক্ষিত প্রাক ঐতিহাসিক দুর্গ।

বর্ণনা

[সম্পাদনা]
শিশুপালগড় দূর্গের অবশেষ

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরের কাছে প্রাচীন নগরী শিশুপালগড় আবিষ্কৃত হয়। শিশুপালগড় জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত সৌধ। প্রথম দিককার খননে প্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্বীয় নিদর্শনাদি থেকে বি.বি. লাল এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে মন্দিরটি খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক থেকে খিস্টপরবর্তী ৪র্থ শতক পর্যন্ত সমৃদ্ধ ছিলো।[] শহরটিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের জনবসতি ছিলো। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ দুর্গ এলাকার ৪.৮ কিলোমিটার পরিসীমার মধ্যে জিয়োফিজিক্যাল জরীপ, নিয়মতান্ত্রিক ভূপৃষ্ঠ সংগ্রহ এবং খনন চালান। নির্দিষ্ট ধারণায় পৌছতে তারা প্রতিটি বাড়ি এবং স্থাপনা নিয়ে গবেষণা করেন। তবে অনেকের মতে শহরে একটা অংশে খনন চালিয়ে শহরের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্য করা খুবই তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।[]

এরিয়া ডি ধ্বংসাবশেষ, ২০০৪ (এফ এইচ মেইঞ্জ)

১৯৪৮ সালে বি.বি. লালের নেতৃত্বে প্রথম উৎখনন হয় স্থানটিতে। ২০০১ সালে একটি আমেরিকান ভারতীয় দল একত্রে কাজ করে। ২০০৫ সালে দক্ষিণে অংশের ভূমিতে রাডার প্রবেশ করানো হয়। লেজার স্ক্যানারের মাধ্যমে দুর্গের মধ্যাংশে ত্রিমাত্রিক ১৯ কলামের স্থাপত্যের সন্ধান পাওয়া যায়। এটা ছিলো বাধাপ্রাপ্ত এবং অসম্পূর্ণ। জাউগড়ের সাথে তুলনায় শিশুপালগড়ের ভূপৃষ্ঠের এলাকা অনেক বেশি। শিশুপালগড় ভারতের সর্বোচ্চ পরিচিত দুর্গ। তবে প্রাক বসতি স্থাপনা সম্ভবত দুর্গ ছিলো না।

সংরক্ষণ

[সম্পাদনা]

প্রথম খননের সময়ে স্থানটি পুরোই জঙ্গলাকীর্ণ ছিলো। প্রাচীন শহরের অধিকাংশ জমি বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানাধীন যা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত হওয়ার সময় থেকে এটা ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার অধীনে রয়েছে। ২০০৫ সালে একটি ইন্দো-জার্মান দল জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত স্থানটিতে অবৈধ ভবনের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে। ২০০২ সাল থেকে বাৎসরিক উপগ্রহ চিত্র থেকে জানা যায় ২০১০ সাল পর্যন্ত অবৈধ বাড়ি তৈরীর সংখ্যা বিশেষ করে উত্তর পশ্চিমাংশে বৃদ্ধি পায়। প্রথমে মালসামানা জড় করা হয়। এরপর দেয়াল তুলে স্থান সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিকদের কোনপ্রকার প্রতিক্রিয়ার পূর্বেই দ্রুত ভবন দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়। ২০১০ সাল থেকে নির্মাতাগণ দক্ষিণ শহরের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যেই নির্মাণ শুরু করে কিন্তু দাপ্তরিকদের তরফ থেকে কোনপ্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

সুপরিচিত ঐতিহাসিক করুনা সাগর বেহারা স্থানটির সংরক্ষণ নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন “১৯৪০ সালের উৎখননে প্রাপ্ত স্বর্ণমুদ্রা এবং টেরাকোটার মৃৎশিল্প হারিয়ে যাওয়া খুবই লজ্জার কথা”।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Sisupalgarh had a flourishing urban life: researchers"The Hindu। Chennai, India। ২০০৮-০২-০৮। ২০০৮-০২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৯ 
  2. M. Smith, Sisupalgarh Project (2001), http://www.sscnet.ucla.edu/ioa/smith/
  3. Sahu, Sandeep (২০০৮-০২-১৮)। "Ancient city discovered in India"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৯