মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ (১ এপ্রিল ১৯৩২ – ২১ অক্টোবর ২০১৯) একজন বাংলাদেশি শিক্ষক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন। এছাড়া, তিনি গবেষণাকর্মেও নিয়োজিত ছিলেন।

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ১৯৩২ সালের ১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের বাঙ্গাখাঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।^[১] তিনি নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৪৩ সালে আলিম ১৯৪৫ সালে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাকে ১৯৪৭ কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে "মুমতাযুল মুহাদ্দিসিন" সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।^[২] তিনি ১৯৪৯ সালে হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দুতে স্নাতক হন।^[১] এরপর, ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উর্দুতে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে যথাক্রমে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।^[২] ১৯৮১ সালে তিনি এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।^[১]

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ১৯৫২ সালে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু ও আরবি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ^[১] ১৯৭৮ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও ১৯৮৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৯২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যান।^[২] অবসর গ্রহণ করার পর উর্দু ও ফারসি বিভাগে সুপারনিউমারারি প্রফেসর হিসেবে ১০ বছর অধ্যাপনা করেন।^[১]

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আরবি, ফারসি, বাংলা, উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তিনি ৩৩টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।^[২] তার লেখা নিবন্ধ বাংলা বিশ্বকোষ, ইসলামি বিশ্বকোষ ও দেশবিদেশের সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ১১টি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন।^[২]

উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ আবদুল্লাহর অবদানের জন্য লাহোরের সাইয়ারা সাময়িকী তাকে ১৯৬৬ "নিশানে উর্দু" খেতাব প্রদান করেছিল।^[১] ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইব্রাহীম খাঁ স্বর্ণপদক লাভ করেন।^[২]

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।^[১][২]

• বাংলাপিডিয়ায় মুহাম্মদ আবদুল্লাহ