বিষয়বস্তুতে চলুন

মুক্তমনা (ব্লগ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুক্তমনা
মুক্তমনার লগো
মুক্তমনার লগো
উচ্চারণ
  • মুক্‌তোমোনা
নামকরণমুক্ত মন
প্রতিষ্ঠাতাঅভিজিৎ রায়
প্রতিষ্ঠাস্থানবাংলাদেশ
ধরনধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক্য সংগঠন
যে অঞ্চলে
দক্ষিণ এশিয়া
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা, ইংরেজি
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
অভিজিৎ রায়
ওয়েবসাইটhttps://home.muktomona.com

মুক্তমনা হলো বাংলাভাষী মুক্তচিন্তক, নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার এবং লেখকদের প্রথম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা অভিজিৎ রায় শুরু করেছিলেন। মুক্তমনা অর্থ "মুক্ত মন"। মুক্তচিন্তা ও মুক্তমন শব্দ দুটি অনেকটাই কাছাকাছি অর্থ বহন করে। ওয়েবসাইটটি মুক্ত মত প্রকাশের পক্ষে এবং ধর্মীয় মৌলবাদ, বিশেষত ইসলামী ধর্মীয় মৌলবাদের সমালোচনা করে থাকে।[]

সেকুলার হিউম্যানিজম কাউন্সিল (ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ পরিষদ) মুক্তমনাকে "বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সমসাময়িক মুক্তচিন্তকদের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধমান সংগ্রহ" বলে অভিহিত করেছে। এই দলটি সেন্টার ফর ইনকয়েরি এবং আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী ও নৈতিকতা ইউনিয়ন-এর মতো আন্তর্জাতিক এনজিওর সাথে কাজ করেছিল।[]

ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করতেন অভিজিৎ রায়। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ইসলামবাদী দাবিদার সন্ত্রাসদল তাকে হত্যা করে। অনন্ত বিজয় দাশও ব্লগের জন্য লিখেছিলেন এবং তাকেও একই বছরের ১২ মে তারিখে হত্যা করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা গ্রুপ বলেছিলো যে তারাই রায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী।[] অনন্ত বিজয় দাশ ও অভিজিৎ রায় উভয়ই ইসলামপন্থীদের করা খুনের টার্গেটের তালিকায় ছিলেন।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০০১ সালের মে মাসে অভিজিৎ রায় মুক্তমনা নামে একটি ইয়াহু গ্রুপ শুরু করেছিলেন যার অর্থ "মুক্ত মন"। ২০০২ সালে মুক্তমনা একটি ব্লগের রূপ পায়। মুক্তমনা ইন্টারনেটে ডারউইন দিবস এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনকারী প্রথম কোনো বাঙালি সংগঠন। এই সংগঠনটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ধর্মনিরপেক্ষ লেখকদের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে। তারা আন্তর্জাতিক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সংগঠনগুলোর সাথে হত্যা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কাজ করেছিল। তারা ধর্মীয় প্রশ্ন এবং এলজিবিটি বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছিল, যেগুলি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বিষয়।[] ২০০৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে মুক্তমনা জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার ডয়চে ভেলের কাছ থেকে "দ্য ববস - সেরা অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম" পুরস্কার পেয়েছেন। খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যা এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]