বিষয়বস্তুতে চলুন

বুক অন দ্য মেজারমেন্ট অব প্লেন অ্যান্ড স্ফেরিক্যাল ফিগারস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বুক অন দ্য মেজারমেন্ট অব প্লেন অ্যান্ড স্ফেরিক্যাল ফিগারস-এর একটি পৃষ্ঠা বর্তমানে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।

বুক অন দ্য মেজারমেন্ট অব প্লেন অ্যান্ড স্ফেরিক্যাল ফিগারস ( আরবি: كتاب معرفة مساحة الأشكال البسيطة والكريّة, কিতাব মাআরিফা মাসাহাত আল-আশকাল আল-বাসিতা ওয়াল-কুরিয়াহ ) [note ১] ছিল বনু মুসার (নবম শতাব্দীর তিন পারস্য বংশোদ্ভূত ভাই, যারা বাগদাদে কাজ করতেন) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। [] এই বইটির লাতিন অনুবাদ করেছিলেন ১২ শতাব্দীর ইতালীয় জ্যোতিষী জেরার্ড অব ক্রেমোনা। এর নাম দিয়েছিলেন লিবার ত্রিয়ুম ফ্রাত্রুম ডে জিওমেট্রিয়া এন্ড ভার্বা ফিলিওরাম মোইসি ফিলি সেকির। ১৩শ শতাব্দীতে বহুবিদ্যাবিশারদ নাসিরুদ্দীন তুসী এই বইয়ের আরবি সংস্করণটি সম্পাদনা করেন।[] মূল আরবি গ্রন্থটি বর্তমানে হারিয়ে গেছে, তবে বইটির বিষয়বস্তু পরবর্তী অনুবাদ ও রচনা থেকে জানা যায়।[]

বুক অন দ্য মেজারমেন্ট অব প্লেন অ্যান্ড স্ফেরিক্যাল ফিগারস জ্যামিতি বিষয়ক একটি বই, যা আর্কিমিডিসের দুটি বিখ্যাত কাজ অন দ্য মেজারমেন্ট অব দ্য সার্কেল এবং অন দ্য স্ফিয়ার অ্যান্ড দ্য সিলিন্ডার-এর সাথে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ।[] এই বইটি মধ্যযুগে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সাবিত ইবনে কুররা, হাসান ইবনুল হায়সাম, লিওনার্দো ফিবোনাচি (তাঁর প্রাকটিকা জিওমেট্রিয়া-তে), জর্দানুস দে নেমোর এবং রজার বেকনের মতো বিখ্যাত পণ্ডিতেরা এটি ব্যবহার করেছেন এবং উদ্ধৃত করেছেন।[] এই গ্রন্থে ক্ষেত্রফলআয়তনের ধারণা, কোণ ত্রিখণ্ডন, জ্যামিতিক নির্মাণ এবং কনিক ধারণাগুলোর ওপর আলোচনা করা হয়েছে।[] এতে এমন কিছু উপপাদ্য রয়েছে যা গ্রিক পণ্ডিতরাও জানতেন না।[]

পরে এই বইটি লাতিন ভাষায় পুনঃপ্রকাশিত হয়, যার সঙ্গে ইংরেজি অনুবাদ সংযুক্ত করেন ইতিহাসবিদ মার্শাল ক্ল্যাগেট। তিনি এই বইটি কীভাবে মধ্যযুগে গণিতবিদদের প্রভাবিত করেছিল, তা সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। []

এছাড়াও দেখুন

[সম্পাদনা]
  1. The work is also known as the Kitāb maʿrifaẗ masāḥaẗ al-aškāl al-basīṭaẗ wa-al-kuriyyaẗ.[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Kitāb maʿrifah masāḥat al-ashkāl al-basīṭah wa-al-kuriyyah"Islamic Scientific Manuscripts Initiative। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২৩ 
  2. al-Dabbagh 1970, পৃ. 444।
  3. O'Connor, J.J.; Robertson, E.F. (১৯৯৯)। "Banu Musa brothers"MacTutorUniversity of St Andrews। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৩ 
  4. Pascual 2015, পৃ. 117।
  5. Casulleras 2007
  6. Papadopoulos 2016, পৃ. 5।
  7. al-Dabbagh 1970, পৃ. 445।
  8. Pingree 1988

সূত্র

[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]