বাংলাদেশের সংসদীয় কমিটিসমূহ
অবয়ব
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
সংসদীয় কমিটি হলো বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের কমিটি; যা বাংলাদেশ সরকারের আইনি শাখার অধিকাংশ কার্য সম্পাদন করে। বেশিরভাগ আধুনিক আইনসভার মতো কমিটিগুলি জাতীয় সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।[১] বাংলাদেশে তিন ধরনের সংসদীয় কমিটি রয়েছে: স্থায়ী, নির্বাচন এবং বিশেষ।[২]
বাংলাদেশের সংবিধানে ন্যূনতম দুটি সংসদীয় কমিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে: একটি সরকারি হিসাব কমিটি এবং একটি বিশেষ অধিকার কমিটি।[৩] সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি সরকারি মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি করে অতিরিক্ত কমিটি প্রয়োজন।[৪]
স্থায়ী কমিটিতে সাধারণত ৮ থেকে ১৫ জন সদস্য থাকে।[৫] কমিটিগুলি গোপনীয়তা বজায় রেখে বসে, তাদের সভাগুলি জনসাধারণ বা মিডিয়ার জন্য উন্মুক্ত নয়।
কমিটির তালিকা
[সম্পাদনা]একাদশ জাতীয় সংসদে মোট ৫০টি সংসদীয় কমিটি রয়েছে :[৬]
- কার্য উপদেষ্টা কমিটি
- কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পিটিশন কমিটি
- লাইব্রেরি কমিটি
- সংসদ কমিটি
- বেসরকারী সদস্যদের বিল এবং বেসরকারী সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
- সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি
- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্���ণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ahmed, Nizam (২০১৮-০২-০৬)। The Parliament of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা ৩৭। আইএসবিএন 978-1-351-72794-5। ২০২৪-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০১।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০২-০৪)। "১২টি সংসদীয় কমিটি গঠন"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৪।
- ↑ "The Parliament of Bangladesh: Representation and Accountability"। CMI - Chr. Michelsen Institute (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০১।
- ↑ Ahmed, Nizam (২০১৮-০২-০৬)। The Parliament of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা ১৩৪। আইএসবিএন 978-1-351-72794-5। ২০২৪-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০১।
- ↑ Rahman, Taiabur (২০০৮)। Parliamentary control and government accountability in South Asia: a comparative analysis of Bangladesh, India, and Sri Lanka। Routledge advances in South Asian studies series (প্রথম সংস্করণ)। London: Routledge। পৃষ্ঠা ১০৪। আইএসবিএন 978-0-415-40498-3।
- ↑ "কমিটির নাম"। www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯।