ফ্লোরেন্স
ফ্লোরেন্স Firenze | |
---|---|
কমুনে | |
Comune di Firenze | |
ইতালিতে ফ্লোরেন্স এর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪৩°৪৭′ উত্তর ১১°১৫′ পূর্ব / ৪৩.৭৮৩° উত্তর ১১.২৫০° পূর্ব | |
দেশ | ইতালি |
অঞ্চল | তুস্কানি |
প্রদেশ | ফ্লোরেন্স (এফ১) |
সরকার | |
• মেয়র | মাত্তিও রেঞ্জি (পিডি) |
আয়তন | |
• মোট | ১০২.৪১ বর্গকিমি (৩৯.৫৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) |
জনসংখ্যা (৩১ মে, ২০১২)[১] | |
• মোট | ৩,৬৭,৭৯৬ |
• জনঘনত্ব | ৩,৬০০/বর্গকিমি (৯,৩০০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | ফিওরেন্তিনি |
সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইডিটি (ইউটিসি+২) |
পোষ্ট কোড | ৫০১২১-৫০১৪৫ |
আঞ্চলিক কোড | ০৫৫ |
প্যাট্রন সেন্ট | জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট |
সেন্ট ডে | ২৪ জুন |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ফ্লোরেন্স (ইতালীয়: Firenze; [fiˈrɛntse] () মধ্য )ইতালির তুস্কানি (তুস্কানা) অঞ্চল ও ফ্লোরেন্স প্রদেশের প্রধান শহর হিসেবে খ্যাত। রোমের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে এ শহরের অবস্থান। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত মেয়াদকালে এ শহরটি আধুনিক ইতালি রাজতন্ত্রের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল। আর্নো নদীর তীরে অবস্থিত ফ্লোরেন্সের সবচেয়ে জনবহুল, যার সংখ্যা প্রায় ৩,৭০,০০০জন।[২] ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ বিশ্লেষণ ও শহরের গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেস্কো ১৯৮২ সালে এ শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। সুপ্রাচীন ভবনগুলোয় চিত্রিত শিল্পশৈলীর মাধ্যমে ফ্লোরেন্সের জনগণের ধর্মীয়, শিল্পকলা, শক্তিমত্তা, এমন-কি অর্থ-প্রাচুর্য্যের নিদর্শন লক্ষ্য করা যায়। এ শহরের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, দাঁন্তে, ম্যাকিয়াভেলী, গ্যালিলিওসহ সুপরিচিত মেডিসি পরিবারের শাসকদের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্লোরেন্সের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। খ্রীষ্ট-পূর্ব প্রথম শতাব্দীতে রোমান সামরিক উপনিবেশ হিসেবে ফ্লোরেন্সকে দেখা যায়। মধ্যযুগে ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত ছিল ফ্লোরেন্স, যা ঐ সময়ে অন্যতম সমৃদ্ধশালী শহরে পরিণত করেছিল।[৩] প্রায়শঃই এ শহরকে ইতালির পুণঃজাগরণের পীঠস্থান রূপে গণ্য করা হয়ে থাকে। এ শহরটি দীর্ঘদিন মেডিসি পরিবার কর্তৃক শাষিত হয়েছে। পাশাপাশি, অনেক ধর্মযাজক ও প্রজাতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ইতিহাস গড়ে উঠে।[৪] চতুর্দশ শতক থেকে ষোড়শ শতক পর্যন্ত জ্ঞানচর্চা, চিত্রকলা ও স্থাপত্যকলার জন্যও শহরটি বিখ্যাত। যারফলে এ শহরকে মধ্যযুগের এথেন্স নামে ডাকা হয়।[৫] বলা হয়ে থাকে যে, প্রায় এক হাজার বিখ্যাত ইউরোপীয় চিত্রকর দ্বিতীয় শতকে এখানে পদার্পণ করেন। তন্মধ্যে প্রায় ৩৫০ জন ফ্লোরেন্সে বসবাস কিংবা কাজ করেছেন। ফ্লোরেন্সের বর্তমান গৌরবোজ্জ্বল দিক বলতে প্রধানত সুদূর অতীতকেই নির্দেশ করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ 'City' population (i.e., that of the comune or municipality) from demographic balance: January–April 2009[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], ISTAT.
- ↑ Bilancio demografico anno 20010, dati ISTAT ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০১১ তারিখে
- ↑ "Economy of Renaissance Florence, Richard A. Goldthwaite, Book – Barnes & Noble"। Search.barnesandnoble.com। ২৩ এপ্রিল ২০০৯। ৪ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Brucker, Gene A. (১৯৬৯)। Renaissance Florence। New York: Wiley। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 0520046951।
- ↑ Spencer Baynes, L.L.D., and W. Robertson Smith, L.L.D., Encyclopædia Britannica. Akron, Ohio: The Werner Company, 1907: p.675
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- Niccolò Machiavelli. Florentine Histories
- Brucker, Gene A. (১৯৮৩)। Renaissance Florence।
- Brucker, Gene A. (১৯৭১)। The Society of Renaissance Florence: A Documentary Study।
- Chamberlin, Russell (২২ মে ২০০৮)। Travellers Florence & Tuscany, 3rd: Guides to Destinations Worldwide। Thomas Cook Publishing। আইএসবিএন 978-1-84157-844-6। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১০।
- Chaney, Edward(2003), A Traveller's Companion to Florence.
- Goldthwaite, Richard A. (১৯৮২)। The Building of Renaissance Florence: An Economic and Social History।
- Hibbert, Christopher (১৯৯৯)। The House of Medici: Its Rise and Fall।
- Lewis, R.W.B. (১৯৯৬)। The City of Florence: Historical Vistas and Personal Sightings।
- Najemy, John (২০০৬)। A History of Florence 1200–1575।
- Schevill, Ferdinand (১৯৩৬)। History of Florence: From the Founding of the City Through the Renaissance।
- Trexler, Richard C. (১৯৯১)। Public Life in Renaissance Florence।
- Ferdinand Schevill, History of Florence: From the Founding of the City Through the Renaissance (Frederick Ungar, 1936) is the standard overall history of Florence.
- Sciacca, Christine (২০১২)। Florence at the Dawn of the Renaissance: Painting and Illumination, 1300-1500। Getty Publications। আইএসবিএন 978-1-60606-126-8। ২০ সেপ্ট���ম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- The High Renaissance in Florence – Video
- The Moscow Florentine Society
- Florence Buildings Art History
- Florence view ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে
- Moving Postcards Florence
টেমপ্লেট:Regional capitals of Italy
টেমপ্লেট:European Capital of Culture টেমপ্লেট:Province of Florence
বিষয়শ্রেণী:ইতালির শহর