প্যারীমোহন সেনগুপ্ত
প্যারীমোহন সেনগুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | ৩ মার্চ ১৮৯৩ গোপীনাথপুর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ |
মৃত্যু | ২০ মে ১৯৪৭ (বয়স ৫৪) কলকাতা , ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা |
পেশা | কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক |
দাম্পত্য সঙ্গী | উমা দেবী |
সন্তান | অমিতাভ সেনগুপ্ত, চিত্রা সেনগুপ্ত, অরুণাভ সেনগুপ্ত, মীরা সেনগুপ্ত, কৃষ্ণা সেনগুপ্ত |
পুরস্কার | স্বর্ণ পদক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
প্যারীমোহন সেনগুপ্ত (০৩ মার্চ ১৮৯৩ - ২০ মে ১৯৪৭) ভারতের বাঙালি কবি, প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক।[১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]প্যারীমোহন সেনগুপ্তর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গোপীনাথপুরে। পিতার নাম জলেশ্বর সেনগুপ্ত। বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি হাইস্কুলে পড়াশোনা এবং প্রবেশিকা ও কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ইংরাজীতে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণ পদক লাভ করেছিলেন। প্রথমে সরকারি অফিসে করণিকের কাজ নেন। কিন্তু অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে সে কাজ পরিত্যাগ করেন। 'প্রবাসী' পত্রিকার সহ-সম্পাদক এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।[২] এছাড়া 'মডার্ন রিভিউ' ও অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণের 'পঞ্চপুষ্প' পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মাসিক 'উদয়ন' পত্রিকার তিনি প্রথম সম্পাদক ছিলেন। কবি প্যারীমোহন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্য ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]প্যারীমোহনের প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -
- কাব্য
- 'অরুণিমা'
- 'কোজাগরী'
- 'জয় সুভাষ'
- অনুবাদ কাব্য -
- 'বেদবাণী'
- 'মেঘদূত'
- 'পৃথিবীর জাতীয় সঙ্গীত'
- ছড়া ও ছোটদের কবিতা গ্রন্থ-
- 'হালুম বুড়ো'
- 'ভূতের লড়াই'
- ' মজার পদ্য'
- 'বেড়ালের ছড়া'
- কিশোর সাহিত্য-
- 'বাংলাদেশের কবি'
- 'অদ্ভুত জীবজন্তু'
- 'ভূতের রাক্ষসে'
- 'শালিকের গঙ্গাযাত্রা'
- ' শেয়াল কবিরাজ'
এছাড়া তিনি কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনাও করেছেন। তার রচিত 'ভীষ্ম' নামক ইংরাজী গ্রন্থ একসময় পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাঠ্যপুস্তক হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সুবোধচন্দ্র ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৪০১। আইএসবিএন 9788179552919।
- ↑ ডঃ শিশিরকুমার দাশ। সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা (২০০৩)।