পুণে বিমানবন্দর
পুনে বিমানবন্দর | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সেনাবাহিনী / জনসাধারন | ||||||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | পুণে | ||||||||||||||
অবস্থান | মহারাষ্ট্র রাজ্যে পুণে মহানগর থেক প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) উত্তরপূর্বে | ||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৫৯২ মিটার / ১৯৪২ ফুট | ||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১৮°৩৪′৫৬″ উত্তর ৭৩°৫৫′১১″ পূর্ব / ১৮.৫৮২২২° উত্তর ৭৩.৯১৯৭২° পূর্ব | ||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||
| |||||||||||||||
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০১৬ - মার্চ ২০১৭) | |||||||||||||||
ভারতীয় বিমান বাহিনী | |||||||||||||||
| |||||||||||||||
পুনে বিমানবন্দর (আইএটিএ: পিএনইউ, আইসিএও: ভিএপিও) ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পুণে মহানগর থেক প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) উত্তরপূর্বে অবস্থিত। বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর লোহেগাঁও বিমান ঘাঁটির পূর্ব দিকে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত একটি সিভিল এনক্লেভ।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
[সম্পাদনা]পুনে বিমানবন্দরে একটি ১০/২৮ ভিত্তিক ২,৫৩৫ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। একটি প্রাক্তন রানওয়ে এখন আইএএফ দ্বারা ট্যাক্সিওয়ে হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আরডব্লুওয়াই ১০/২৮ এর দক্ষিণ দিকে উড়ান পরিচালনার সুবিধার জন্য এএআই দ্বারা একটি ২,২০০ মি x ২৩ মি সমান্তরাল ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এয়ারফিল্ডটি রাতে লিজিং সুবিধাগুলির পাশাপাশি ডিভিওআর / ডিএমই এবং একটি এনডিবি মত ন্যাভিগেটর সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।[৪] আইওএফ দ্বারা পাইওনিয়ার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল পরিচালিত হয়।[৪] উড়ানের সময়সূচী এবং রাতের অবতরনগুলিতে এএআই এবং আইএএফ���র মধ্যে প্রায়ই বিরোধ হয়। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে কাজে জন্য মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা বেসামরিক বিমান চলাচলে রাতে অবতরনের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে, যদিও এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
লুফথানসার দ্বারা পরিচালিত প্রাইভেটএয়ার ফ্রাংকফুর্ট-পুনে যাত্রাপথে উড়ান পরিচালনা করে। বর্তমানে এই দীর্ঘতম রুটে উড়ান একটি বোয়িং ৭৩৭-৭০০ বিমান দ্বারা পরিচালিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিমানবন্দরটি ১৯৩২ সালে বোম্বে (এখন মুম্বাই) শহরে আকাশ পথে সুরক্ষা প্রদানের জন্য আরএএফ পুনা নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাভিল্যান্ড মশুকি এবং ভিক্স ওয়েলিংটন বোম্বারদের এবং সুপারিমেরিন স্পিটফায়ার জঙ্গী বিমানের স্কোয়াড্রনগুলির ঘাঁটি ছিল।[৫] মে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত রয়েল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল।[৬] নির্দিষ্ট পণ্য রপ্তানির জন্য ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে পুনে বিমানবন্দর কাস্টমস বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী ও ব্যাগের চলাচলের জন্য পুনে বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়।[৭] ২০০৫ সালে দুবাই এবং সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক উড়ানগুলি এয়ার ইন্ডিয়া (পূর্বে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স) দ্বারা শুরু হয়েছিল।[৮] এই উড়ানগুলি পরে বাতিল করা হয়েছিল। ২০০৪-০৫ সালে, পুনে বিমানবন্দর প্রতিদিন প্রায় ১৬৫ জন যাত্রী পরিচালনা করত, যা বছরে ৬০,০০০ এর কাছাকাছি। ২০০৫-০৬ সালে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৫০ জন। ২০০৬-০৭ সালে প্রতিদিন যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪,২০৯ জন, যা বছরে ১৫ লাখেরও বেশি এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৮ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করে ছিল (প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার যাত্রী) বিমানবন্দরটি।[৯]
₹ ১ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর আধুনিকায়ন পরিকল্পনা আগস্ট ২০০৮ সালে পুনে শহরে অনুষ্ঠিত যুব কমনওয়েলথ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে চালু করা হয়েছিল। এএআই আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য দুটি নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করেছে, যার আয়োতন প্রায় ১২,০০০ বর্গমিটার এবং যাত্রী এবং উড়ান পরিচালনা বৃদ্ধির জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে পূর্বের অপর্যাপ্ত ৬,৫০০ বর্গ মিটারের পুরানো প্রধান টার্মিনাল বিল্ডিং উভয় দিকে। নতুন ভবনগুলি ব্যস্ত সময়ে বিমানের যাত্রীদের চাপে কমাতে সাহায্য করেছে। বিমান চলাচলের সুবিধার জন্য একটি নতুন সমান্তরাল ট্যাক্সিওয়ে এবং আটটি এয়ারবাস এ৩২০ বা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ দাড়ানোর জন্য একটি অ্যাপ্রনের নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে দুটি এ্যারোব্রিজ চালু করা হয়েছিল। আধুনিক স্পা সহ নতুন কনভেয়ার্টার বেল্ট এবং যাত্রী সুবিধাগুলিও চালু করা হয়।[১০]
বিমান এবং গন্তব্য
[সম্পাদনা]বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
এয়ারএশিয়া ভারত | ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, জয়পুর |
এয়ার ইন্ডিয়া | চণ্ডীগড়, দিল্লি |
অ্যালায়েন্স এয়ার | কোয়েম্বাটুর, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, গোয়া |
গো এয়ার | আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, নাগপুর |
ইন্ডিগো | আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লী, হায়দ্রাবাদ জয়পুর, কোচি, কলকাতা, লখনৌ, নাগপুর |
লুফথানসা | ফ্রাংকফুর্ট |
স্পাইসজেট | আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লী, দুবাই - ইন্টারন্যাশনাল, গোয়া, হায়দ্রাবাদ, কোচি, কলকাতা |
ভিস্তারা | দিল্লি |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Traffic News for the month of March 2017: Annexure-III" (পিডিএফ)। Airports Authority of India। ২৭ এপ্রিল ২০১৭। পৃষ্ঠা 3। ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Traffic News for the month of March 2017: Annexure-III" (পিডিএফ)। Airports Authority of India। ২৭ এপ্রিল ২০১৭। পৃষ্ঠা 3। ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Traffic News for the month of March 2017: Annexure-IV" (পিডিএফ)। Airports Authority of India। ২৭ এপ্রিল ২০১৭। পৃষ্ঠা 3। ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ ক খ AAI website, ১ নভেম্বর ২০১১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮
- ↑ "Lohegaon airbase celebrates Indian Air Force's 80th anniversary"। The Times of India। ৩ অক্টোবর ২০১২। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Back To India"। Bharat Rakshak। ২ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Pune Customs website"। ১৯ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Pune airport accorded international status"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Passenger traffic at Pune airport takes a big leap"। Indian Express। ১৪ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Pune airport braces for swanky look AAI to spend Rs 20 cr"। Times of India। ১৯ অক্টোবর ২০১১। ৪ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।