বিষয়বস্তুতে চলুন

নিদাল আল-আসকর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিদাল আল-আসকর
জন্ম১৯৩৪
জাতীয়তালেবানিজ
পেশাপরিচালক, অভিনেতা, থিয়েটারকর্মী
আন্দোলনআরববিশ্বে থিয়েটারের প্রচলন

নিদাল আল-আসকর (জন্ম: ১৯৩৪) একজন লেবানীয় অভিনেত্রী এবং থিয়েটারকর্মী।[] লেবাননের মাধ্যমে আরব বিশ্বের থিয়েটার সংস্কৃতি চালু করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।[]

জীবনী

[সম্পাদনা]

জন্ম ও শিক্ষা

[সম্পাদনা]

নিদাল সিরিয়ান সোশ্যাল ন্যাশনালিস্ট পার্টির রাজনীতিবিদ আসাদ আল-আসকরের কন্যা। আরব বিশ্বের সংকীরর্ণতা তার পরিবারে বিদ্যমান ছিল না। তিনি যখন অভিনেত্রী এবং পরিচালক হতে চাইলেন তখন পারিবারিক বাধা তাকে অতিক্রম করতে হয়নি। পরবর্তীতে নিদাল লন্ডনের রয়েল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টসে পড়ালেখা করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৬৭ সালে তিনি বৈরুতে প্রথম নাটক পরিচালনা করেন। ১৯৬০ দশকের পরবর্তী দিকে তিনি বৈরুত থিয়েটার ওয়ার্কশপ চালু করেন। ১৯৭০-এর মাঝামাঝির দিকে তিনি আম্মান-জর্ডানে "আরব অ্যাক্টর্স" নামক থিয়েটার কোম্পানি চালু করেন। ১৩টি আরব দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই কোম্পানিতে যুক্ত হন।[]

লেবানিজ গৃহযুদ্ধের পরে নিদাল ১৯৯৪ সালে মাশরাহ আল-মদিনা থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। থিয়েটারটি প্রতিষ্ঠিত হয় পুরাতন সারোউলা সিনেমার ভবন সংস্কার করে।[]

২০১৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে "সত্যিকারের এবং রূপান্তরকৃত বিপ্লব" ছাড়া আরব বিশ্বে থিয়েটার করা অসম্ভব। কারণ থিয়েটার বা এ ধরনের কিছু পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা এবং উন্মুক্ততা। অথচ আরববিশ্বে এই ব্যাপারগুলো অনুপস্থিত। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সেখানে ধর্ম, যৌনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলত পারেন না।[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে ফরাসি সরকার তাকে নাইটস অব আর্টস অ্যান্ড লেটার্স অভিধায় ভূষিত করে। তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি থেকেও তিনি উচ্চমর্যাদার সাংস্কৃতিক পদক লাভ করেন।[] নিদাল ২০১২ সালের মুরেক্স ডি'অর-এ লাইফটাইম এচিভমেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কার প্রদান করে লেবাননের সংস্কৃতিমন্ত্রী গাবি লেইয়ুন তাকে "লেবাননের সংস্কৃতি এবং দীপ্তির সত্যিকারের প্রতীক"।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. হানান নাসের (২২ মার্চ ২০১৯)। "LAU Celebrates the Grande Dame of Theater, Nidal Al Achkar"লেবানিজ আমেরিকান ইউনিভার্সিটি। ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  2. "NIDAL AL ASHKAR" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Nidal Al Achkar: A Woman of the Theatre"হোম ম্যাগাজিন। নং ৩। লেবানন। ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  4. Gary Hoppenstand (২০০৭)। The Greenwood encyclopedia of world popular culture। Greenwood Press। পৃষ্ঠা 296। আইএসবিএন 978-0-313-33274-6 
  5. হানান নাসের (১২ এপ্রিল ২০১৯)। "Nidal Al-Ashkar: No Freedom Of Speech In The Arab World; Change Would Require Real Transformative Revolutions"মেমরি ডট অর্গ। ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 
  6. হানান নাসের (২৪ জুন ২০১২)। "Nidal Al Ashkar receives Lebanon culture award"দ্য ন্যাশনাল। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]