ছানা
ধরন | চিজ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
উৎপত্তিস্থল | ভারতীয় উপমহাদেশ | ||||||
প্রধান উপকরণ | দুধ | ||||||
৭১৯ কিলোক্যালরি (৩০১০ কিলোজুল) | |||||||
| |||||||
ছানা হলো দুধ থেকে তৈরি একটি বিশেষ খাদ্য দ্রব্য। ছানাকে সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় তক্রপিণ্ড বা তক্র কুর্চিকা।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারতীয় উপমহাদেশে ছানা তৈরি করা শিখিয়েছে পর্তুগীজরা। প্রাচীন আমলে কোন এক সময়ে দুধের ছানা ছিল পরিত্যাজ্য। ফেলে দেয়া হতো। বৈদিক যুগে দুধ থেকে তৈরি খাবার ছিল পৌরাণিক ধারার অংশ। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী অনুপ জালোটার কণ্ঠে ননী, মাখন ও ছানার গল্প নিয়ে ভজন আছে। পর্তুগীজদের পর বাঙালীরাই ছানা থেকে একের পর এক দুগ্ধজাতীয় খাবার বানাতে থাকে। শুরুতে এদের বলা হতো হালুইকর। এখন বলা হয় ময়রা। বাংলায় ছানা তৈরি হয় প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে।
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]সিরকার সঙ্গে সমপরিমাণ জল যুক্ত করা হয়। দুধ উননে ফোটানো হয়। ফুটে উঠা মাত্রই সিরকা দিয়ে আগুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ফেলা হয়। দুধের ছানা ও জল আলাদা হলে সঙ্গে সঙ্গে দুধ একটি কাপড় বা ছাকনিতে ঢেলে খোলা বাতাসে ৬-৭ ঘণ্টা রাখা হয়। জল ঝরে গেলে ছানা ঠাণ্ডা জায়গায় রাখা হয়। ছানা দিয়ে সন্দেশ, মিষ্টি, রসগোল্লা ইত্যাদি তৈরি হয়।ছানা কে কেন্দ্র করে পুরো পশ্চিম বঙ্গে মিষ্টান্ন ব্যবসা আবর্তিত হয়।
এক লিটার দুধ থেকে আধা কাপ ছানা পাওয়া যায়। ছানা দিয়ে পনিরও তৈরি করতে পারেন।
উপকারিতা:দুধে কারোর সমস্যা থাকলে ছানা বিকল্প হিসাবে কাজে আসে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |