বিষয়বস্তুতে চলুন

আলাপ:বিক্রমপুর জাদুঘর

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: নাছির উদ্দিন জুয়েল কর্তৃক ১ মাস আগে "সমস্যা ও সম্ভাবনা" অনুচ্ছেদে

সমস্যা ও সম্ভাবনা

[সম্পাদনা]

বিক্রমপুর জাদুঘরের সমস্যা অনেক কিন্তু সম্ভাবনাও আছে বিশ্বাস করি‌। সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় কিছু চাহিদার মধ্যে_ বাউন্ডারি ওয়াল করা, ২টা ওয়াস ব্লক (টয়লেট বাথরুম) করা, গেস্ট হাউস এবং ইউরোপীয়ান ক্লাবটি সংস্কার,ওপেন স্টেজ, বসার জন্য কয়েকটি আরসিসি ছাতা, বেঞ্চ সহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ। এছাড়া বার্ষিক লীজ এর অর্থ মৌকুফ করা বা কমানোর ব্যবস্থা করা, জাদুঘর এবং গেস্ট হাউসের জন্য সিসি ক্যামেরা স্হাপন করা, পুরনো নৌকা এবং অন্যান্য কিছু প্রত্মবস্তু কার্বন টেস্ট করা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু করা সহ প্রায় ত্রিশটি আইটেমের একটি পরিকল্পনা বা প্লান করেছি আশা করি সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব। আমি বিনীতভাবে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ একান্ত ভাবে কামনা করছি।


উন্নয়ন:


জাদুঘরটি আরো সমৃদ্ধ করার জন্য প্রাচীন তৈজসপত্র, পাথর বা অন্যান্য ধাতু/চীনা মাটি ও মাটির নির্মিত থালা, বাসন, অতীত যুগের ব্যবহার্য সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, পুরাতন খাট পালং, চেয়ার, টেবিল, আলমারি, পুঁথি-পত্র, বই তালপাতায় বা হাতে বানানো কাগজে হাতে লেখা প্রাচীন গ্রন্থ, নৌকা, মৃৎশিল্প, পোড়ামাটির নিদর্শন, মূর্তি, কয়েন, অলংকার, হাতির দাঁতের শিল্পকর্ম, প্রাকৃতিক সম্পদ, ধাতব শিল্পকর্ম, পুতুল, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, নকশিকাঁথা, কাঠের শিল্পকর্ম,পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বস্তুগুলো নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে (প্রদর্শিত হচ্ছে) মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি। এই মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি,শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, বই-পত্র অন্যান্য সামগ্রী এবং নৌ জাদুঘরের জন্য নৌকা দান করলে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হবে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় বিক্রমপুর জাদুঘর দেশের মধ্যে একটি উচ্চমানের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের একান্ত কামনা। আমরা চাই আপনিও আমাদের প্রচেষ্টার সহযাত্রী হোন - সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। এই 'বিক্রমপুর জাদুঘর'-এ  প্রত্ন ও  প্রাচীন সামগ্রী দান করে আপনিও হতে পারেন জাদুঘর গড়ে তোলার গর্বিত অংশীদার। 'আমরা প্রতিটি বস্তুর প্রাপ্তির পাকা রশিদ বা দানপত্রের কাগজ দিয়ে থাকি এবং প্রদর্শনীতে দাতার নাম, তাহার পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সংগ্রাহকের নাম ঠিকানাও থাকে। দর্শনার্থী দেখে যেন বুঝতে পারে,আপনার দান অক্ষয় থাকুক। তাই বলছি পুরাতন জিনিসপত্র অযত্নে অবহেলায় ফেলে না রেখে আমাদের খবর দিন আমরা গিয়ে নিয়ে আসবো বা সংগ্রহ করবো।'  


বিবিধ:


কিউরেটর হিসেবে আমি অবৈতনিক হলেও বাকি ৬জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ, এছাড়া বছরে ২লক্ষ টাকার উপরে লীজের টাকা পরিশোধ করে জাদুঘরটি ১০ বছর যাবত প্রবেশ মূল্য ছাড়া বা বিনা টিকিটে পরিচালনা করে আসছে। তবে ব্যায় সংকুলান ও জাদুঘরটি আরো সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ২০ টাকা মূল্যের এন্টি ফি বা প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তিল তিল করে এই জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। এপর্যন্ত বিক্রমপুর জাদুঘর এসেছে নিজেদের অর্থে নিঃসন্দেহে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের কঠিন কাজ। শুরু থেকেই সংগঠনের একটি শক্তিশালী টিম কাজ করছে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. নূহ উল আলম লেনিন ভাইয়ের নেতৃত্বে। আমি তাঁহার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাকে কিউরেটরের দায়িত্ব দেওয়ার পর তার নিদর্শনায় এগিয়ে যাচ্ছি সাধ্যমত চেষ্টা করছি। সাবেক কিউরেটর অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া আমাদের সাজু’দাকেও ধন্যবাদ জানাই। তিনি অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না কিন্তু যখনই দেখা হয় খোঁজ খবর নেন আর যেহেতু শুরু থেকে তার পাশে থেকে কাজ করেছি, পাশাপাশি আমি স্কুল জীবন থেকেই বিক্রমপুরের সংবাদ নিয়ে তথা ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করে আসছি তাই তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না আনন্দের মধ্যে দিয়ে কাজের ধারা অব্যাহত আছে পুরো বিক্রমপুরকে একটি ছাদের নিচে আনতে।


অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং যে সকল ব্যাক্তি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিক্রমপুর জাদুঘরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। যুগ যুগ ধরে কৃতজ্ঞতার সাথে আপনাদের কথা স্মরণ করবে মানুষ। সংগঠনের সম্মানিত সদস্য/সহকর্মী, বিক্রমপুরের সুধীজন এবং পাঠক আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় বিক্রমপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে সাথে নিয়ে এই উম্মুক্ত বিক্রমপুর জাদুঘর একদিন আন্তর্জাতিক জাদুঘরের মর্যাদা পাবে তেমনি স্বপ্ন দেখি।


@ নাছির উদ্দিন আহমেদ

কিউরেটর

বিক্রমপুর জাদুঘর  

এবং

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় পর্ষদ

অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন

বালাসুর, শ্রীনগর, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ। নাছির উদ্দিন জুয়েল (আলাপ) ০২:০১, ১১ নভেম্বর ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন