বিষয়বস্তুতে চলুন

অভিলাষা কুমারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অভিলাষা কুমারী
লোকপাল-এর বিচারিক সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৩ মার্চ ২০১৯
নিয়োগদাতারাম নাথ কোবিন্দ
পূর্বসূরীপদ প্রতিষ্ঠিত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1956-02-23) ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
দাম্পত্য সঙ্গীপৃথ্বিন্দ্রসিংহ গোহিল (বি. ১৯৭৯)
পিতাভিরাভদ্র সিং
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইন্দ্রপ্রস্থ কলেজ ফর উইমেন, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়

অভিলাষা কুমারী (জন্ম ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬) হচ্ছেন বর্তমানে ২৩ মার্চ ২০১৯ থেকে ভারতের লোকপাল কমিটির বিচার বিভাগীয় একজন সদস্য।[] তিনি একজন সাবেক বিচারক যিনি ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গুজরাত উচ্চ আদালত এবং ২০১৮ সালের মণিপুর উচ্চ আদালতে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৭ই মে ২০১৮ থেকে ২৩ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত ভারতের গুজরাত রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন ছিলেন।

প্রারম্ভের জীবন

[সম্পাদনা]

অভিলাষা কুমারীর জন্ম ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে ভিরভদ্র সিং যিনি হচ্ছেন[] যিনি হচ্ছেন সাবেক হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, এবং তার প্রথম স্ত্রী রত্ন কুমারীর ঘরে।[][][] তিনি চার বোন এবং এক ভাইয়ের সবচেয়ে বড়।[] তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা লোরেটো কনভেন্ট, তারা হল, শিমলাতে সম্পূর্ণ করেন[][] পরে তিনি ইংরেজিতে বি.এ. সম্পন্ন করেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রপ্রস্ত কলেজ থেকে এবং এলএল.বি. সম্পূর্ণ করেন হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।[][]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

২৬শে মার্চ, ১৯৮৪-এ কুমারী আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং হিমাচল প্রদেশ উচ্চ আদালত এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে অনুশীলন করেন।[][] তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সরকার স্থায়ী কাউন্সিল ছিলেন এবং মার্চ ২০০৩ থেকে ডিসেম্বর ২০০৫ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে।[][]

কুমারী আইনগত উপদেষ্টা-কাম-স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন হিমাচল প্রদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, হিমাচল প্রদেশের তফশিলি জাতি ও উপজাতি জনসংখ্যা উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং হিমাচল প্রদেশ রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ড এর জন্য। তিনি ডালহৌসি পৌর কাউন্সিলের স্থায়ী পরামর্শক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন; এছাড়াও সিমলা পৌর কর্পোরেশন; হিমালয় প্রদেশের স্কুল শিক্ষা বোর্ড এবং হিমাচল প্রদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের স্থায়ী পরামর্শ হিসেবেও।[]

৯ জানুয়ারী ২০০৬ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত কুমারী গুজরাত উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে কাজ করেন।[][] এরপর তিনি অবসর গ্রহণের আগে ৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত মাত্র ১৩ দিনের জন্য মণিপুর উচ্চ আদালতের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হন।[][][][] তিনি ১৭ মে ২০১৮ থেকে গুজরাত রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন।[]

২৩ মার্চ ২০১৯-এ ৩ জন বিচারিক সদস্যসহ তিনি লোকপাল কমিটির বিচারক নিযুক্ত হন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

৭ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুমারী সিমলাতে তদানীন্তন ভাবনগর রাজ্যের রাজকীয় পরিবারের সদস্য, ডারডের পৃথ্বিন্দ্রসিংহ গোহিলকে বিয়ে করেন। তাদের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে, রাঘভেন্দ্র (জন্ম ১১ জুলাই ১৯৮১)।[][১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Justice Abhilasha Kumari Appointed Lokpal Member"himachalgo.com। ২০১৯-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৯ 
  2. "High Court of Gujarat"gujarathighcourt.nic.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. Samom, Shobhapati (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Justice Abhilasha Kumari is Manipur HC's first woman chief justice"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "Justice Abhilasha Kumari promoted"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. "वीरभद्र सिंह की बेटी अभिलाषा ने संभाला चीफ जस्टिस का कार्यभार"Dainik Jagran (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. "वीरभद्र की बेटी जस्टिस अभिलाषा कुमारी बनेंगी HC की चीफ जस्टिस"Navbharat Times (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  7. "Justice Abhilasha Kumari takes oath as Manipur Chief Justice for 13 days, father Virbhadra Singh attends function"The Hush Post (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "Former HC judge is GSHRC chief"Ahmedabad Mirror। ১১ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৮ 
  9. "Abhilasha Kumari takes charge of office of Chairperson of Gujarat Human Right Commission for five-year term"DeshGujarat (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  10. Soszynski, Henry। "BASHAHR"members.iinet.net.au। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮