দিলীপ বিশ্বাস
দিলীপ বিশ্বাস | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৬ |
মৃত্যু | ১২ জুলাই, ২০০৬[১] |
সমাধি | ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র প্রযোজক অভিনেতা সঙ্গীত শিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৬৬ – ২০০৬ |
সন্তান | দেবাশীষ বিশ্বাস (পুত্র)[২] |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার |
দিলীপ বিশ্বাস (জন্মঃ ১৯৪৬, মৃত্যু: ১২ জুলাই ২০০৬)[৩] ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা, অভিনয় ও সঙ্গীতশিল্পী।[৩] তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন একজন গায়ক হিসেবে জহির রায়হান এর বেহুলা ছবির মাধ্যমে, অভিনেতা হিসেবে "হাবুর বিয়ে" এবং পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সমাধি-এর মত একটি সফল ছবি দিয়ে।[৩] জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[৩]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
চলচ্চিত্র জীবন
দিলীপ বিশ্বাস এর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতে আগমন ঘটেছিল ষাটের দশকে একজন গায়ক হিসেবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ জহির রায়হান এর বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি গায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি "আনোয়ারা", "মোমের আলো", "দুই ভাই", "আলোমতি", "সন্তান" ও "চেনা অচেনা" ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এরপর "হাবুর বিয়ে" নামে একটি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। পরে ঝুঁকে পরেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালনার দিকে এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে "আগুন নিয়ে খেলা" ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন। পূর্ণ-পরিচালক হিহেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সত্তরের দশকে সমাধি ছবিটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে। এটি ছিল দারুণ সফল একটি চলচ্চিত্র।
১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের তিন কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক, আলমগীর ও সোহেল রানা'কে একসঙ্গে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন "জিঞ্জির" চলচ্চিত্রটি। এটি সে সময় অসাধারণ দর্শক প্রিয়তা লাভ করে।[৪] এরপর থেকে তিনি একের পর এক দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করে গেছেন, যেমন; "দাবী", "বন্ধু", "আসামী", "অনুরোধ", "জিনজির", "আনারকলি", "অংশীদার", "অপমান", "অস্বীকার", "অপেক্ষা", "অকৃতজ্ঞ", "অজান্তে" এবং ২০০৫ সালে নির্মাণ শুরু করেছিলেন "মায়ের মর্যাদা" এটি ২০০৬ সালে মুক্তি লাভ করে।
পরিচালিত চলচ্চিত্র
- "আগুন নিয়ে খেলা" (সহকারী পরিচালক)
- "সমাধি" (পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র)
- "দাবী"
- "বন্ধু"
- "আসামী"
- "অনুরোধ"
- "জিঞ্জির"
- "আনারকলি"
- "অংশীদার"
- "অপমান"
- "অস্বীকার"
- "অপেক্ষা"
- "অকৃতজ্ঞ"
- "অজান্তে"
- "মায়ের মর্যাদা"
অভিনীত চলচ্চিত্র
- "হাবুর বিয়ে"
প্রযোজিত চলচ্চিত্র
প্রযোজক হিসেবে তার ছিল গীতি চিত্রকথা নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতষ্ঠান, এখানে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সহ পরিবেশন ও করা হয়। তার পরিচালনার বেশির ভাগ ছবির প্রযোজনা তিনি নিজেই করতেন। ২০০২ সালে পুত্র দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালনায় শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ প্রযোজনা করেছিলেন।
- "অকৃতজ্ঞ"
- "শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ"
- "মায়ের মর্যাদা"
গায়ক
- "বেহুলা"
- "আনোয়ারা"
- "মোমের আলো"
- "দুই ভাই"
- "আলোমতি"
- "সন্তান"
- "চেনা অচেনা"
সম্মাননা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- বিজয়ী শ্রেষ্ঠ পরিচালক -
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Cultural Correspondent (জুলাই ১৬, ২০০৬)। "In remembrance of film director Dilip Biswas"। দ্য ডেইলি স্টার। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১২।
- ↑ "বিনোদন জগতে আত্মীয়তার বন্ধন"। ১৭ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ Culture (December 30, 2006)। "In remembrance... Dilip Biswas (1946-2006)"। দ্য ডেইলি স্টার। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ April 27। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ একত্রিশ বছর পর একসঙ্গে রাজ্জাক-সোহেল রানা-আলমগীর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দিলীপ বিশ্বাস (ইংরেজি)
- ১৯৪৬-এ জন্ম
- ২০০৬-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী অভিনেতা
- বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা
- বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব
- বাংলাদেশী চলচ্চিত্র প্রযোজক
- বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক
- বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী
- বাংলাদেশী গায়ক
- বাংলা ভাষার সঙ্গীতশিল্পী
- বাংলাদেশী হিন্দু
- ২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী
- শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী
- ২০শ শতাব্দীর চিত্রনাট্যকার