বিষয়বস্তুতে চলুন

খালেদ মাসুদ পাইলট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খালেদ মাসুদ পাইলট
রাজশাহীতে স্থানীয় খেলায় খালেদ মাসুদ পাইলট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
খালেদ মাসুদ পাইলট
জন্ম (1976-02-08) ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ (বয়স ৪৮)
রাজশাহী, বাংলাদেশ
ডাকনামপাইলট[]
ব্যাটিংয়ের ধরনডান হাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৮ জুন ২০০৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৬)
৫ এপ্রিল ১৯৯৫ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই৫ই ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭ – presentরাজশাহী বিভাগ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৪ ১২৬ ১০১ ১৮৪
রানের সংখ্যা ১৪০৯ ১৮১৮ ৩৯৩৩ ২৫৭৮
ব্যাটিং গড় ১৯.০৪ ২১.৯০ ২৪.৮৯ ২০.৪৬
১০০/৫০ ১/৩ ০/৭ ৩/১৮ ০/১০
সর্বোচ্চ রান ১০৩* ৭১* ২০১* ৭১*
বল করেছে ৫০
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭৮/৯ ৯১/৩৫ ১৭৪/১৮ ১৪৭/৪৯
উৎস: ক্রিকইনফো, ২১শে নভেম্বর ২০০৮

খালেদ মাসুদ, যিনি সাধারণত খালেদ মাসুদ পাইলট নামে পরিচিত (বাংলা: খালেদ মাসুদ; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬) একজন প্রাক্তন বাংলাদেশি ক্রিকেটার এবং টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। তিনি একজন উইকেটকিপার এবং মধ্যক্রমের ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশি কোচ ডেভ হোয়াটমোর তাকে "এশিয়ার সেরা উইকেটকিপার" হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।[] তিনি বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে হ্যাটট্রিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, তিনি রাজশাহী বিভাগ দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে থাকেন। ২০১১ সালে তার দলকে শিরোপা জেতানোর পর তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

তার পিতা শামসু ছিলেন ১৯৭০-এর দশকের একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশি ফুটবলার। তিনি একজন স্ট্রাইকার হিসেবে কাজী সালাউদ্দিন এর সাথে জুটি গড়ে আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে ১৯৭৭ সালে ঢাকা লীগ শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেন।[]

খালেদ মাসুদ ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে নির্বাচিত হন।[]

শুরুর দিনগুলো

[সম্পাদনা]

মাসুদ ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা শুরু করেন। উইকেটকিপার হওয়ার পাশাপাশি তিনি সাধারণত ৩ নম্বরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং দায়িত্ব পালন করতেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি জাতীয় দলে জায়গা পান এবং ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ড 'এ' দলের বিপক্ষে খেলেন। একই বছরের শেষের দিকে তিনি শারজাহতে ওয়ানডে অভিষেক করেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

[সম্পাদনা]

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে অভিষেকের সময় ব্যাট হাতে ৩২ এবং অপরাজিত ২১ রান করে তিনি নজর কাড়েন।[] তবে তার সবচেয়ে স্মরণীয় টেস্ট মুহূর্ত আসে ২০০৪ সালের মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের লিড নেওয়ার পর, বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেসময় মাসুদ দলের হাল ধরেন এবং অপরাজিত ১০৩ রান করেন। তার সঙ্গে মোহাম্মদ রফিক এবং তাপস বৈশ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[]

ওয়ানডে ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

মাসুদ ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে বিজয়ী বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি গড় রানসংখ্যায় দলের শীর্ষে ছিলেন। তিনি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৭০ রান করে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ১১৫ রানের জুটি গড়েন এবং ম্যাচ সেরা হন। ফাইনালে তার দ্রুতগতির ১৫* রানের ইনিংস বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে।

২০০৭ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর তিনি ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Khaled Mashud | Cricket Players and Officials | ESPN Cricinfo". Cricinfo.com. Retrieved 2012-07-07.
  2. "Khaled Mashud" (ইংরেজি ভাষায়)। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২১ 
  3. "Pilot's father former footballer Shamshu no more – Sports – observerbd.com"The Daily Observer। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  4. "Mashud new Bangladesh manager for NZ series"ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৯-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  5. "Bangladesh vs India Only Test 2000/01 – Score Report | ESPNcricinfo.com" (ইংরেজি ভাষায়)। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  6. "Full Scorecard of Bangladesh vs West Indies 1st Test 2004 – Score Report | ESPNcricinfo.com" (ইংরেজি ভাষায়)। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
নাইমুর রহমান
বাংলাদেশী জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০১/
উত্তরসূরী
খালেদ মাহমুদ
পূর্বসূরী
হাবিবুল বাশার
বাংলাদেশী জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৪/
উত্তরসূরী
হাবিবুল বাশার