বিষয়বস্তুতে চলুন

আগ্নেয়ভস্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অগ্ন্যুৎপাতে উৎপন্ন ছাই
আগ্নেয়ভস্মের আণুবীক্ষণিক চিত্র

আগ্নেয়ভস্ম হল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় উদ্গত সূক্ষ্ম (২ মিমি ব্যাসার্ধের কম) শিলাচূর্ণ, খনিজ, আগ্নেয়কাঁচ দিয়ে গঠিত অসংহত পাইরোক্লাস্টিক পদার্থ।[][] শব্দটি কখনও অগ্নুৎপাতে উৎপন্ন ২ মিমি ব্যাসার্ধের বড় বস্তু (যেগুলোর সঠিক নাম টেফরা) উল্লেখ করতেও ব্যবহৃত হয়। আগ্নেয়ভস্ম আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় গঠিত হয় যখন ম্যাগমায় দ্রবীভূত গ্যাসগুলি সম্প্রসারিত হয় এবং বায়ুমন্ডলে দ্রুত নির্গত হয়। দ্রুতবেগে নির্গত গ্যাস ম্যাগমাকে বায়ুমন্ডলে নিক্ষিপ্ত করে যেখানে সেগুলো আগ্নেয় শিলা ও কাঁচের টুকরাতে পরিণত হয়। এছাড়াও আগ্নেয়ভস্ম উৎপন্ন হতে পারে ফ্লাইমোম্যাগটিক অগ্ন্যুৎপাতের সময় যখন ম্যাগমা পানির সংস্পর্শে এসে পানিকে বিস্ফোরণের সাথে তৎক্ষণাৎ বাষ্পে পরিণত করে এবং ম্যাগমাকে ছিটকে দেয়। বায়ুমন্ডলে নির্গত হলে আগ্নেয়ভস্ম বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে হাজার হাজার কিলোমিটার স্থানান্তরিত হয়।

ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে, আগ্নেয়ভস্ম মানুষ ও পশুপাখির স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে, বিমান যোগাযোগ, জটিল অবকাঠামো, স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।

উপাদান

[সম্পাদনা]

আগ্নেয়ভস্মে সিলিকার শতকরা পরিমাণ সাধারণত ৮৪ থেকে ৯০ শতাংশ হয়ে থাকে।[] আগ্নেয় ভস্মে থাকা খনিজ পদার্থের ধরন ম্যাগমার উপর নির্ভর করে যেটা থেকে এটি উদ্ভূত হয়েছে। গাঢ় ধূসর বর্ণের আগ্নেয় ভস্মে ~৪৫-৫৫% সিলিকা থাকে এবং সাধারণত লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হয়।

প্রভাব

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Rose, W.I.; Durant, A.J. (২০০৯)। "Fine ash content of explosive eruptions"। Journal of Volcanology and Geothermal Research186 (1–2): 32–39। ডিওআই:10.1016/j.jvolgeores.2009.01.010বিবকোড:2009JVGR..186...32R 
  2. সিফাতুল কাদের চৌধুরী। "আগ্নেয়ভস্ম"বাংলাপিডিয়া 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]