বিষয়বস্তুতে চলুন

মাহবুবে আলম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুদ্রণযোগ্য সংস্করণটি আর সমর্থিত নয় এবং এতে রেন্ডারিং ত্রুটি থাকতে পারে। দয়া করে আপনার ব্রাউজারের বুকমার্কগুলি হালনাগাদ করুন এবং এর পরিবর্তে দয়া করে ব্রাউজারের মুদ্রণ করার ফাংশনটি ব্যবহার করুন।
মাহবুবে আলম
সাবেক বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল
কাজের মেয়াদ
১৩ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
নিয়োগদাতাইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
পূর্বসূরীসালাহউদ্দিন আহমেদ
উত্তরসূরীএএম আমিন উদ্দিন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৪৯-০২-১৭)১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯[]
মৌছামন্দ্রা, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ(বিক্রমপুর), পূর্ব পাকিস্তান ( বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০(2020-09-27) (বয়স ৭১)
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (ঢাকা)
জাতীয়তাপাকিস্তানি (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইনজীবী

মাহবুবে আলম (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ১৩ জানুয়ারী ২০০৯ থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন।[] তিনি এর আগে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে ১৫ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে ৪ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[][]

শিক্ষা

১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে মুন্সীগঞ্জের(বিক্রমপুর) লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসনে এমএ পাস করার পর ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিতে দুটি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন।[][][]

কর্মজীবন

মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

মাহবুবে আলমের স্ত্রী বিনতা মাহবুব একজন চিত্রশিল্পী। তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে। ছেলে সুমন মাহবুব একজন সাংবাদিক। আর মেয়ে শিশির কণা একজন আইনজীবী।[]

মৃত্যু

মাহবুবে আলম ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়া হয়। [] তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।[][১০]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  2. "Mahbubey Alam appointed attorney general"। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "Mahbubey Alam new attorney gen"। ১৪ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. "অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  5. ".::Bangladesh Judicial Service Commission::."। ১০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. "অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা গেছেন"ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-০৯-২৭। ২০২০-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  7. "অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২০-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  8. "করোনায় মাহবুবে আলমের মৃত্যু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক"। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  9. "অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা গেছেন"জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭ 
  10. "করোনায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যু"somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৭