লিনাস পাউলিং
লিনাস কার্ল পাউলিং ( জন্ম-ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯০১- মৃত্যু-আগস্ট ১৯, ১৯৯৪)[২] একজন বিশ্ববিখ্যাত রসায়নবিদ। তিনিই ১৯৫৪ এ রসায়ন এবং ১৯৬৩ সালে শান্তিতে দুইবার নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
জন্ম
সম্পাদনালিনাস কার্ল পাউলিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের পোর্টল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার পিতা হারম্যান হেনরি উইলিয়াম পাউলিং ছিলেন অরেগনের একজন জার্মান বংশভূত ফার্মাসিস্ট এবং মা লুসি ইসাবেল ডার্লিং অরেগন জন্মগ্রহণকারি ও ইংরেজ-স্কটিশ বংশভূত।
শিক্ষা
সম্পাদনাকনডন ও পোর্টল্যান্ডের স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ১৯১৭ সালে পাউলিং ওরেগন স্টেট কলেজে যোগ দেন। সেখান থেকে ১৯২২ সালে রসায়নিক প্রকৌশলে বি.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৯-১৯২০ সালের দিকে তিনি স্টেট কলেজে পরিমানগত বিশ্লেষণের (Quantitative Analysis) পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ফেলো হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি অধ্যাপক আর. জি. ডিকিনসন ও রিচার্ড সি. টোলম্যানের তত্ত্বাবধায়নে কাজ করেন। ১৯২৫ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার মাইনর বিষয় ছিল পদার্থবিদ্যা ও গণিত।
আবিষ্কার
সম্পাদনাপরমাণুতে বিভিন্ন শক্তিস্তরে সর্বাধিক সংখ্যাক ইলেকট্রনের বিন্যাস সম্পর্কে ১৯২৫ সালে পাউলিং একটি নীতি উপস্থাপন করেন। এটি তার বর্জন নীতি হিসেবে পরিচিত। নীতিটি হল,-" একই পরমাণুতে যে কোন দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো এক হতে পারে না।" এই বর্জন নীতির মূল কথা হল, একটি পারমাণবিক অর্বিটালে সর্বাধিক দুইটি ইলেকট্রন থাকতে পারে যদি তাদের ঘূর্ণন (Spin) বিপরীতমুকী হয়।
নোবেল পুরস্কার
সম্পাদনা১৯৫৪ সালে পাউলিং অরবিটাল সংকরণ তত্ত্বের জন্য তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। নিউক্লিয় শক্তির পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টার জন্য শান্তিতে ১৯৬২ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
মৃত্যু
সম্পাদনাবিজ্ঞানী পাউলিং ১৯ আগস্ট, ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ গণিত উদ্ভববিজ্ঞান প্রকল্পে লিনাস পাউলিং
- ↑ দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1098/rsbm.1996.0020, এর পরিবর্তে দয়া করে
|doi=10.1098/rsbm.1996.0020
সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন। - ↑ "Linus Pauling's Childhood (1901-1910)"। Special collections। Oregon State University Libraries। মে ১৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৫, ২০১৩।
- ↑ "Linus Pauling"। NNDB: Tracking the entire world। Soylent Communications। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৫, ২০১৩।
- ↑ দাশগুপ্ত, ধীমান (এপ্রিল ১৯৯৭)। বিজ্ঞানী চরিতাভিধান। ২ (১ সংস্করণ)। কলকাতা: বাণীশিল্প। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন বিহীন
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)।