লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়
লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় হল উত্তরপ্রদেশের লখনউ শহরে অবস্থিত একটি রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের উচ্চশিক্ষার প্রাচীনতম সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বিদ্যায়তন শহরের ইউনিভার্সিটি রোডের বাদশা বাগ এলাকায় অবস্থিত, দ্বিতীয় বিদ্যায়তনটি জানকিপুরম এলাকায় অবস্থিত।
প্রাক্তন নাম | ক্যানিং কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | আলো ও শিখন |
ধরন | রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২৫ নভেম্বর ১৯২০ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুহাম্মাদ আলি মুহাম্মাদ খান |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইউজিসি |
বাজেট | ₹ ১৩৭ কোটি (ইউএস$ ১৬.৭৫ মিলিয়ন) |
আচার্য | উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল |
উপাচার্য | অলোক কুমার রাই[১] |
শিক্ষার্থী | ১৭,০৫৬[২] |
স্নাতক | ১০,৭৭৬[২] |
স্নাতকোত্তর | ৬,২৮০[২] |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ২২৫ একর (৯১ হেক্টর) Old Campus, ৭৬ একর (৩১ হেক্টর) New Campus |
ভাষা | হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, আওয়াধি |
ওয়েবসাইট | www |
লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় হল একটি শিক্ষাদানকারী, আবাসিক ও অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়, যা ৫০০ টিরও বেশি কলেজ ও ১৭ টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংগঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলি শহর, অন্যান্য আশেপাশের এলাকা এবং রায়বেরেলী, হারদোই, সীতাপুর ও লখিমপুর খেরি জেলা জুড়ে অবস্থিত।[৩]
লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় হল উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি জা��ীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি কাউন্সিল দ্বারা এ++ মর্যাদায় স্বীকৃত।[৪][৫]
ইতিহাস
সম্পাদনালখনউতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারণা স্যার মুহাম্মাদ আলি মুহাম্মাদ খান কর্তৃক প্রদান করা হয়েছিল। তিনি তৎকালীন জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য পাইওনিয়ারয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যাতে লখনউতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়। পরে স্যার হারকোর্ট বাটলারকে ইউনাইটেড প্রদেশের লেফটেন্যান্ট-গভর্নর নিযুক্ত করা হয়, এবং মুহম্মদ খানকে সকল বিষয়ে, বিশেষ করে শিক্ষাগত বিষয়ে আগ্রহী করে তুলেছিল। লখনউয়ের গভর্নমেন্ট হাউসে ১৯১৯ সালের ১০ই নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় আগ্রহী ব্যক্তিদের একটি সাধারণ কমিটি যখন বৈঠকে মিলিত হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চালু করার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কমিটির চেয়ারম্যান, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের রূপরেখা প্রদান করেছিলেন।
অবশেষে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ (আজকের কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়), ক্যানিং কলেজ, ইসাবেলা থোবার্ন কলেজ কাঠামোগত সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করেছিল।[৬]
শিক্ষা
সম্পাদনাক্রম
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং |
---|
লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক তালিকায় ১৯৭তম স্থান অর্জন করেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Mullick, Rajeev (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯)। "BHU's Prof Alok Kumar Rai appointed vice-chancellor of Lucknow University"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "University Student Enrollment Details"। www.ugc.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Affiliated Colleges List"। University of Lucknow। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৫।
- ↑ "Lucknow University accredited with NAAC A++ grade - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৫।
- ↑ "Good News: Lucknow University creates HISTORY, gets A++ grade by NAAC"। Zee News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৫।
- ↑ "History"। University of Lucknow। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২।