আবদুর রব জৌনপুরী
আব্দুর রব জৌনপুরী (১৮৭৫-১৯৩৫) একজন আলেম ও ধর্মপ্রচারক ছিলেন। তিনি ওয়াজ নসীহত করে মানুষকে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি আহবান করতেন। তিনি মূলত বাংলা ও আসাম অঞ্চলে ধর্মপ্রচার করেতেন।[১]
আব্দুর রব জৌনপুরী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৭৫ |
মৃত্যু | জুন ১৯৩৫ | (বয়স ৫৯–৬০)
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নী |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফী |
আন্দোলন | তাইয়ুন��� |
কাজ | আলেম, লেখক |
আত্মীয় | কেরামত আলী জৌনপুরী (দাদা) হাফেজ আহমদ জৌনপুরী (চাচা) আব্দুল আউয়াল জৌনপুরী (চাচা) আব্দুল বাতেন জৌনপুরী (চাচাতো ভাই) |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | হাফেজ আহমদ জৌনপুরী |
পূর্বসূরী | হাফেজ আহমদ জৌনপুরী |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
জন্ম ও পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাআব্দুর রব জৌনপুরী ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের জৌনপুরের মোল্লাটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাফিজ মাহমুদ। তিনি মওলানা কেরামত আলী জৌনপুরীর পৌত্র। পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। চাচা পিতৃব্য হাফিজ আহমদ জৌনপুরীর তত্ত্বাবধানে বড় হন। তিনি খুব কম সময়ে কোরাআন হাফিজ হয়ে যান। আরবি, ফারসি ভাষাসহ ইসলামি জ্ঞান অর্জন করেন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআব্দুর রব জৌনপুরী তার চাচা হাফিজ আহমদ জৌনপুরীর মৃত্যুর পর তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। ভোলার দৌলতখানে তার নেতৃত্বে মানব সেবার ও ইসলাম প্রচারের এক বিশেষ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিলো এবং সেখানে তিনি একটি লঙ্গরখানা নির্মাণ করেছিলেন যেখানে দৈনিক কয়েক শত মানুষ খাবার গ্রহণের করতো। তিনি ১৮৯৯ সাল থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মানব সেবায় অবদান রাখেন।[১]
মৃত্যু
সম্পাদনাআবদুর রব জৌনপুরী জুন ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের জৌনপুরের মোল্লাটোলায় মৃত্যুবরণ করেন।[১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "জৌনপুরী, আবদুর রব - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০২।